চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং ড্যাব চট্টগ্রামের প্রধান উপদেষ্টা ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ডা. মিলন স্বপ্ন দেখেছিলেন শোষণমুক্ত বাংলাদেশের, নিয়োজিত রেখেছিলেন নিজেকে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের প্রতিটি পর্যায়ে। স্বৈরাচারকে উৎখাত করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছিল তার দৃঢ় অঙ্গীকার। বুকের রক্তের বিনিময়ে তিনি গণতন্ত্রকে বিজয়ী করেছিলেন। একজন আদর্শবান চিকিৎসক আত্মাহুতি দিয়ে প্রমাণ করলেন সব স্বৈরাচার কোনো না কোনো দিন রক্তের স্রোতে জনতার সম্মিলিত আন্দোলনে ভেসে যেতে বাধ্য হয়।
মেয়র গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নগরের জিইসি মোড় বিএমএ ভবন মিলনায়তনে ৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ড্যাব চট্টগ্রাম শাখার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত বলেন, ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময়ে ডা. শামসুল আলম খান মিলন শহীদ হন। এরশাদের পতনের আগে ডা. মিলনের রক্তদান ছিল আন্দোলনের এক টার্নিং পয়েন্ট। তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে আন্দোলনের তীব্রতায় এরশাদ সরকারের পতন ত্বরান্বিত হয়। প্রবল গণরোষের মুখে স্বৈরশাসক এরশাদ অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের নির্ভীক শহীদ ডা. মিলনের আত্মদানে হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত হয়। তার আত্মদানের মধ্যদিয়ে এরশাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রাম চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে ধাবিত হয়। ডা. মিলন গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী হয়ে সবার মাঝে বেচেঁ আছেন। শহীদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগ সবসময় আমাদের প্রেরণা যোগাবে।
ড্যাব চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালীর পরিচালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন ড্যাব চমেক শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএমএ চট্টগ্রামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, ড্যাব মহানগর শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আব্বাস উদ্দিন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি। বক্তব্য রাখেন ড্যাব মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ইফতেখারুল ইসলাম, ডা. মো. রকিব উল্লাহ, ডা. এস মুজিবুর রহমান, ডা. একেএম আশরাফুল করিম, ডা. ঈসা চৌধুরী, ডা. ইমরোজ উদ্দিন, ডা. ময়নাল হোসেন, ডা. রিফাত কামাল রনি, ডা. ইমরান হোসেন, ডা. মিনহাজুল আলম, ডা. তানভীর হাবিব তান্না প্রমুখ।