ট্রাম্পের বিচারে রায় জানাতে আলোচনায় বসছেন জুরিরা

| বৃহস্পতিবার , ৩০ মে, ২০২৪ at ৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ

পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে হওয়া মামলায় নিউ ইয়র্কের আদালতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচারে সমাপনী যুক্তিতর্কের পর রায় জানাতে আলোচনায় বসছেন জুরিরা। নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার বিচারকের নির্দেশনামতো সুচিন্তিত এই আলোচনার পর ট্রাম্প দোষী নাকি নির্দোষ, সে বিষয়ে জুরিরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন।

রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় এবং আইন জুরিদেরকে মাথায় রাখতে হবে সেগুলো সম্পর্কে তাদেরকে নির্দেশনা এরই মধ্যে দিয়েছেন বিচারক। প্রতিটি ক্ষেত্রেই জুরিদের রায় সর্বসম্মত হতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক জুয়ান মার্চেন। খবর বিডিনিউজের।

বিবিসি জানায়, জুরিরা ৬ সপ্তাহ ধরে ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শুনেছেন। কয়েক ডজন প্রমাণ পেয়েছেন এবং মঙ্গলবার তারা ট্রাম্পের আইনজীবী ও কৌঁসুলিদের প্রায় ১১ ঘণ্টার সমাপনী যুক্তিতর্ক শুনেছেন। এখন তাদেরকে একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারা যা দেখেছেন এবং শুনেছেন সেগুলো ট্রাম্পকে দোষী কিংবা নির্দোষ বলে রায় দেওয়ার মতো কিনা সেটিই তাদেরকে বিবেচনা করে দেখতে হবে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দিয়ে সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্পের তৎকালীন আইনজীবী মাইকেল কোহেন। তাছাড়া, এই অর্থ দেওয়ার বিষয়টি গোপন রাখতে ট্রাম্প তার ব্যবসায়িক রেকর্ডেও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ আছে।

টাম্পের বিচারের শেষ যুক্তিতর্কে গত মঙ্গলবার তাকে নির্দোষ জাহির করে ১২ জুরিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা নেন তার আইনজীবী। তিনি জুরিদেরকে এটিই বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচনের প্রচার নির্বিঘ্ন রাখতে পর্নো তারকাকে অর্থ দেওয়ার বিষয়টি লুকাননি। তাছাড়া, কৌসুঁলিদের আনা প্রধান সাক্ষীদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ জাগিয়েও আদালতের রায় ট্রাম্পের পক্ষে আনার চেষ্টা করেছেন তার আইনজীবীরা।

বিভিন্ন দিক বিবেচনায় নিয়ে জুরিরা যে রায় দেবেন তা সর্বসম্মত হওয়া বাঞ্ছনীয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, রায় হতে পারে তিন ধরনের। প্রথমত : জুরিরা ট্রাম্পকে সব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করতে পারেন। দ্বিতীয়ত : ট্রাম্পকে সব অভিযোগ থেকে খালাস দিতে পারেন। আর তৃতীয়ত : ট্রাম্পকে কিছু অভিযোগে দোষী, আর কিছু অভিযোগে নির্দোষ উল্লেখ করে মিশ্র রায় দিতে পারেন।

তবে কয়েকদিনের আলোচনার পরও জুরিরা কোনও সিদ্ধান্তে আসতে না পারলে এবং সর্বসম্মত কোনও রায় দিতে না পারলে তখন বিচারক মার্চেন ট্রাম্পের বিচারকে অমীমাংসিত ঘোষণা করতে পারেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআওয়ামী লীগ নেতা বাদশাহ আলম স্মরণসভা আজ
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ড উপজেলাকে শতভাগ স্কাউট উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা হবে