কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নে ৮ গ্রামবাসীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। অপহৃতরা জাহাজপুরা এলাকায় পাহাড়ি ঝিরি খালে মাছ শিকার করতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার। তাদেরকে অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ জানিয়েছে, গত রোববার বিকেলে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা গ্রামের ৮/৯ জন বাসিন্দা পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকায় ঝিরি খালে মাছ শিকার করতে যায়। সন্ধ্যায় তারা ফিরে আসার সময় একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে পাহাড়ের গভীরে নিয়ে যায়। রাতেই সন্ত্রাসীরা ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে মুঠোফোনে মুক্তিপণ দাবি করে।
প্রত্যেক পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। অপহৃতদের মধ্যে রয়েছে, স্থানীয় জাহাজপুরা গ্রামের রশিদ আহমেদের ছেলে কক্সবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আবছার উদ্দিন (২৪), ছৈয়দ আমিরের ছেলে নুরুল মোস্তাফা, করিম উল্লাহ, নুরুল হকের ছেলে নুর মোহাম্মদ, রশিদ আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ, মাস্টার রুস্তম আলীর ছেলে সেলিম উল্লাহ, মমতাজ আহমদের ছেলে রিদোয়ান ও নুরুল হক।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বাহারছড়াসহ টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন বাসিন্দাকে অপহরণ করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এই সন্ত্রাসী চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে প্রাণ নিয়ে ফিরেও এসেছেন অনেকে।
বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান জানান, অপহরণের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া অপহরণকারী চক্রটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু ৮ জন মানুষকে একসাথে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাই বড় কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপ পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, অপহরণের খবর পাওয়ার পর থানা পুলিশের টিম তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) মো. শাকিল আহমেদের তত্ত্বাবধানে ড্রোন দিয়ে রাতেও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান ওসি মো. আব্দুল হালিম।