দেশে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের একমাস পেরিয়ে গেলেও এখনো টিকা পায়নি খাগড়াছড়ির দুর্গম পাহাড়ি এলাকার সাধারণ মানুষ। এসব এলাকায় নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক, নেই বিদ্যুৎ কিংবা ইন্টারনেট সংযোগ। এতে নিবন্ধন করতে পারছে না বলে দুর্গম এলাকায় হাজারো মানুষ করোনা ভ্যাকসিন সুবিধার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
জানা যায়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য এলাকায় প্রায় ১০ লাখ মানুষের বসবাস। জেলার ৩৮ ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম দুর্গম এলাকায়। এসব গ্রাম থেকে পাহাড়ি পথে চড়াই-উতরায় পেরিয়ে জেলা বা উপজেলা সদরে যেতে হয়। অনেক গ্রামে এখনো সড়ক যোগাযোগ না থাকায় পায়ে হেঁটে বাজারে আসতে হয়। দুর্গম এলাকা হওয়ায় এখানে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। অধিকাংশ মানুষ জুম বা কৃষি কাজ করে। প্রান্তিক এলাকার এসব মানুষের মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ নেই। করোনা টিকা পেতে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হলেও এখানকার মানুষ নিবন্ধন করতে পারছে না। ফলে টিকার বাইরে থেকে যাচ্ছে অনেক বাসিন্দা। দুর্গম অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত এসব মানুষ কীভাবে করোনা ভ্যাকসিন পাবে তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
দীঘিনালার মিলন কার্বারি পাড়ার হতেন ত্রিপুরা, ধেনু বিকাশ ত্রিপুরাসহ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আমাদের এখানে মোবাইল বা ইন্টারনেট নেই। আমরা নিবন্ধন করতে পারছি না বলে গ্রামের কেউ এখনো টিকা নিতে পারেনি।
মেরুং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ঘনশ্যাম ত্রিপুরা জানান, ইপিআই যেভাবে টিকা কার্যক্রম চালায় সেভাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালানো গেলে দুর্গম ও মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা সাধারণ মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হত।
এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন নুপুর কান্তি দাশ জানান, স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে আমরা ভ্যাকসিন নিতে দুর্গম এলাকার সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করছি। যাদের মোবাইল বা ইন্টারনেট সুবিধা নাই তারা উপজেলা সদরে এসে নিবন্ধন করে ভ্যাকসিন নিতে পারবে।
প্রসঙ্গত, ৭ ফেব্রুয়ারি করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত খাগড়াছড়িতে ভ্যাকসিন নিয়েছে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ।