চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার অন্যতম আকর্ষণ বাঘিনী জয়া তিনটি শাবকের জন্ম দিলেও দুইটি মারা গেছে। মা থেকে আলাদা করে একটি বাচ্চাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুরুষ এই বাচ্চাটিসহ চিড়িয়াখানায় মোট ছয়টি বাঘ রয়েছে। এরমধ্যে চারটি বাঘিনী ও দুইটি বাঘ। অপরদিকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় থাকা দেশের বিলুপ্ত প্রায় সাম্বার হরিণের পরিবারেও একটি নতুন অতিথি এসেছে।
চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. মো. শাহাদাত হোসেন শুভ গতকাল দৈনিক আজাদীর সাথে আলাপকালে জানান, গত ১৪ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় তিনটি বাঘের বাচ্চার জন্ম হয়। জয়া-রাজ দম্পতি এই তিনটি শাবকের জন্ম দেয়। একইসাথে তিনটি বাঘের বাচ্চার জন্মে চিড়িয়াখানার সংশ্লিষ্টদের মাঝে আনন্দের সৃষ্টি হয়। বাঘিনী জয়া বাচ্চাকে দুধ খেতে দেয়নি।এতে ১৫ নভেম্বর রাতে একটি শাবক মারা যায়। ১৮ নভেম্বর আরো একটি বাচ্চা মারা যায়। বাঘিনী মার দুর্বোধ্য আচরণে মারা গেল ২ শাবক।
ডাক্তার শুভ জানান, বর্তমানে বেঁচে রয়েছে একটি মাত্র বাচ্চা। পুরুষ এই বাচ্চাটিকে আলাদা করে রেখে আমরা দুধ খাওয়াচ্ছি। তবে পুরোপুরি ভালো নয়। তবে বাচ্চাটিকে যদি মাসখানেক বাঁচিয়ে রাখা যায় তাহলে হয়তো এটিকে বাঁচানো যাবে। সংক্রমণ থেকে রক্ষায় এটিকে সবার অগোচরে লালন-পালন করা হচ্ছে। বাচ্চাটিকে দুধ খাওয়ানো থেকে শুরু করে আনুষাঙ্গিক কাজের সাথে জড়িতরা ছাড়া অন্য কাউকে এটির কাছে যেতে দেয়া হচ্ছে না। ডাক্তার শুভ বলেন- বাচ্চাটিকে বাঁচানোর সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
দেশে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাতেই একমাত্র সাম্বার হরিণ রয়েছে। এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় জাতের হরিণ। গর্ভধারণ কাল ৭-৮ মাস। ৩ বছরে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। বাঁচে ২০-২৫ বছর ।
বিলুপ্তপ্রায় সাম্বার হরিণ পরিবারে এসেছে নতুন অতিথি। চিড়িয়াখানায় কাজল-লাইলির পরিবারে গত ২৪ নভেম্বর সাম্বার হরিণ শাবকটি জন্ম নেয়। সদ্যজাত শাবকসহ এই পরিবারে হরিণের সংখ্যা বর্তমানে ছয়টি। কিউরেটর ডা. শুভ জানান, মা হরিণ ও শাবকটি সুস্থ রয়েছে। সাম্বার শাবক ৬ মাস পর্যন্ত দুধ খায়। সাম্বার শাবকটির লিঙ্গ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ ভাল্লুক সিংহ জেব্রা ও হরিণসহ ৬৬ প্রজাতির ৬২২টি পশু এবং পাখি রয়েছে।