ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান আন্দোলন পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত ৯ দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বন্দর, পতেঙ্গা ও ইপিজেডের যৌথ শাখার আয়োজনে গণ–সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম ইপিজেড চত্বরে বাদ জুমা এই গণ–সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর চরমোনাই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে চরমোনাই পীর বলেন, ছাত্র–জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ তাদের নেতাকর্মীরা সারা দেশে যত হত্যা খুন রাহাজানি করেছে সবগুলোর দ্রুত তদন্ত করে সব অপরাধীর বিচার করতে হবে। সমাবেশে কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সদস্য ড. বেলাল নুর আজিজি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ইসলামী আদর্শ চর্চার পথ রুদ্ধ করতেই দেশবিরোধী একটি গোষ্ঠী সুকৌশলে এদেশের পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় বিদ্বেষ সংযোজন করেছে, সমকামিতার মত বিষয় বইয়ে অন্তর্ভুক্ত আছে যা জাতীর জন্য লজ্জাজনক, অতি শীঘ্রই দেশ মানবতা জনকল্যাণমুখি শিক্ষা বই সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে। নগর সভাপতি জান্নাতুল ইসলাম বলেন, বন্দর–পতেঙ্গা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থান হওয়ার সত্ত্বেও এখানে কোন সরকারি কলেজ হাসপাতাল নেই যা অত্যন্ত দুঃখজনক, বিগত সরকার উন্নয়নের নামে মহাচুরি দুর্নীতি করেছে। এতে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইপিজেড থানা সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তফা হাওলাদার, বন্দর থানা সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম মাসুদ, পতেঙ্গা থানা সভাপতি মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন রাজু সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।