হযরত খাজা মঈনুুদ্দিন চিশতি (র.)’র পরিচয়: উপমহাদেশের মুসলমানদের আধ্যাত্মিক রাহবার, নবী বংশের উজ্বল নক্ষত্র, ইসলামী আদর্শের এক জীবন্ত প্রতীক, কুফর, শির্ক, বিদয়াতসহ অনৈসলামিক কার্যকলাপের প্রতিরোধকারী, পথভ্রষ্ট মানুষের হিদায়তের দিশারী, মর্দে মু’মিন, ইনসানে কামিল, বহুমাত্রিক অসাধারণ গুণাবলীর অধিকারী অলীয়ে কামিল হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (র.) ছিলেন বিশ্ব মানবজাতির জন্য এক অবিস্মরনীয় আদর্শ। পরিচিতি : জন্ম ৫৩০ হিজরি মতান্তরে ৫৩৭ হিজরি, মধ্য এশিয়ার খোরাসানের (বর্তমান আফগানিস্তান) অন্তর্গত সিজিস্তানের সঞ্জর এলাকায়। ইন্তিকাল: ৬ রজব ৬২৭ হিজরি মতান্তরে ৬৩৩ হিজরি, আজমীর শরীফে। উপাধি: হিন্দাল অলী, আতায়ে রাসূল খাজায়ে খাজেগান, নায়েবে রসূল, ওয়ারিসূল আম্বিয়া, আফতাবে চিশতিয়া, সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ ইত্যাদি অভিধায় তিনি সমধিক পরিচিত। (সূত্র: আনোয়ারুল বয়ান, খন্ড: ২, পৃ: ২৬৩)
পিতা–মাতা: তাঁর বুজুর্গ পিতার নাম হযরত সৈয়্যদ গিয়াস উদ্দিন, মাতা: সৈয়্যদা উম্মুল ওয়ারাহ (র.), পিতৃকূলে তাঁর বংশধারা সৈয়্যাদানা ইমাম হোসাইন ইবনে আলী (রা.)’র সাথে সম্পৃক্ত, মাতৃকূলের দিক থেকে তাঁর বংশধারা সৈয়্যাদানা ইমাম হাসান ইবনে আলী (রা.)’র সাথে সম্পৃক্ত। পিতা–মাতা উভয়ের বংশধারায় তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র নূরানী আওলাদ। (খযীনাতুল আসফীয়া, খন্ড: ১, পৃ: ২৫৭, মাসালিকুস সালেকীন, খন্ড: ২, পৃ: ২৭১)
গরীবে নেওয়াজের পিতার ইন্তেকাল: খাজা গরীবে নেওয়াজ বুজুর্গ পিতা: খাজা সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন অত্যন্ত খোদাভীরু, মুত্তাকী, পরহেজগার ও বুজুর্গ ব্যক্তি ছিলেন। খাজা গরীরে নেওয়াজের পনের বৎসর বয়সে তাঁর বুজুর্গ পিতা: ইন্তিকাল করেন। (মিরআতুল আসরার, পৃ: ৫৯৩)
শিক্ষা দীক্ষা: আধ্যাত্মিক জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (র.) সাত বৎসর বয়সে উপনীত হওয়া পর্যন্ত খোরাসানেই লালিত পালিত হন, বুজুর্গ পিতার তত্বাবধানে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করেন। অত:পর সঞ্জরের প্রসিদ্ধ বিদ্যাপীটে ভর্তি হন, সেখানে থেকে তাফসীর হাদীস ফিকহ্ ও ইসলামী জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বুৎপত্তি অর্জন করেন। মিরআতুল আসরারের বর্ণনামতে পনের বৎসর বয়সে তাঁর বুজুর্গ পিতা আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যান। পিতার ইন্তিকালের কয়েক মাসের ব্যবধানে মমতাময়ী মাতাও ইহকাল ত্যাগ করেন।
পীর মুর্শিদের সান্নিধ্যে বিশ বৎসর কামালিয়াতের বিভিন্নস্তর অতিক্রম: আল্লাহ ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওযাসাল্লামের সন্তুষ্টি অর্জন ও কামালিয়্যাত অর্জনের জন্য জাহেরী ইলমের পাশাপাশি বাতেনী ইলম অর্জনের লক্ষ্যে মুর্র্শিদে কামিলের শরণাপন্ন হওয়ার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। খাজা গরীবে নেওয়াজ জাহেরী ইলমের সকল শাখায় বুৎপত্তি অর্জন সত্ত্বেও রুহানী ও বাতেনী পূর্ণতা এবং আত্মশুদ্ধির অর্জনের প্রত্যয়ে একজন কামিল মুর্শিদের সন্ধানে ব্যাকুল হয়ে উঠেন, তিনি শায়খে কামিলের সন্ধান করতে করতে পরিশেষে বাগদাদের খাজা জুনাঈদ বোগদাদী (র.)’র মসজিদে উপস্থিত হন, তথায় তাঁর কাঙ্খিত মুর্শীদ শায়খে কামিল হযরত খাজা ওসমান হারুনী (র.)’র সান্নিধ্যে লাভে নিজকে ধন্য করেন। তিনি নিজেই মুর্শিদের সাক্ষাৎ ও বায়আত লাভের ঘটনা ব্যক্ত করেন যে, আমি পীর মুর্শীদের কদমে চুমু দিলাম। এ সময়ে পৃথিবীর বড় বড় শীর্ষ মাশায়েখ আউলিয়ায়ে কেরাম আমার পীর মুর্শিদের খিদমতে উপবিষ্ট ছিলেন।
আমি নিজকে মুর্শিদের খিদমতে উৎসর্গ করলাম। একাধারে সুদীর্ঘ বিশ বৎসর মুর্শিদের সান্নিধ্যে ইবাদত বন্দেগী মুরাকাবা মোশাহাদা তিলাওয়াত জিকর আযকার কঠোর রিয়াজত ও সাধনায় অতিবাহিত করলাম। এক পর্যায়ে মস্তক জমীনে স্থাপন করলে আমার পীর মুর্শিদ নির্দেশ করেন, দু’রাকাত নামায পড়ো, আমি আদায় করলাম, অত:পর বললেন, কিবলামূখী হয়ে বসো আমি বসলাম, সূরা বাকারা পড়ো, আমি পড়লাম, ২১ বার দরুদশরীফ পড়ো, আমি পড়লাম। অত:পর আমার মুর্শিদ আমার হাত ধরে আসমানের দিকে উত্তোলন করে আমাকে বললেন, এসো আমি তোমাকে আল্লাহ পর্যন্ত পৌছায়ে দিলাম। পীর মুর্শিদের নির্দেশ মোতাবেক কঠোর সাধনায় আত্ম নিয়োগ করলাম, অত:পর আমার মুর্শিদ আমার মস্তকে তুর্কি টুপি ও জুব্বা মোবারক পরাইয়ে দিলেন, বললেন, এবার বসে যাও, আমি বসে পড়লাম, আবার হুকুম করলেন এক হাজার বার সূরা এখলাস পাঠ করো, আমি পাঠ করলাম, অত:পর বললেন আমাদের সিলসিলায় এভাবে একদিন এক রাত মুজাহাদা করতে হয়। আমি মুর্শিদের নির্দেশমতে এভাবে মুজাহাদা সম্পন্ন করে দ্বিতীয় দিন মুর্শিদের খিদমতে উপস্থিত হলে মুর্শিদ কিবলা আমাকে বললেন, আকাশের দিকে দেখ, আমি দেখলাম, পীর মুর্শিদ আমাকে বললেন, জমীনের দিকে দেখো, আমি দেখলাম, মুর্শিদ কিবলা বললেন, এখন তুমি কতটুকু পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছ।
আমি আরজ করলাম, তাহতাসসারা, পাতালের সর্বনিম্নস্তর পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছি, পূনরায় বললেন, এক হাজার বার সূরা এখলাস পড়ো, পড়লাম, বললেন, আকাশের দিকে দেখ, আমি দেখলাম, হুকুম করলেন, কতদূর দেখতে পাচ্ছ, বললাম, “হিজাবে আজমত” আল্লাহর সৃষ্টির সর্বশেষ পর্দা অবলোকন করতে পাচ্ছি। এবার বললেন দু চক্ষু বন্ধ কর, বন্ধ করলাম, পূনরায় আদেশ করলেন, চক্ষু খোল, চক্ষু খুলে নিলাম, অত:পর মুর্শিদের দুটি নূরানী আঙ্গুল মোবারক আমার সামনে তুলে ধরলেন, আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, দু আঙ্গুলের মাঝখানে কি দেখতেছ? আরজ করলাম, আপনার দু আঙ্গুলের মাঝখান দিয়ে আমি আঠার হাজার সৃষ্টি জগত দেখতে পাচ্ছি। অত:পর পীর মুর্শিদ হুকুম করলেন, তোমার সামনের ইটটি উঠাও, আমি যখন ইটটি উঠালাম তখন ইটের নীচে প্রচুর স্বর্ণ মুদ্রা দেখতে পেলাম মুর্শিদ কিবলা হুকুম করলেন, স্বর্ণমুদ্রাগুলো তুলে নাও, এবং ফকির মিসকীনদের মধ্যে বণ্টন করে দাও। আমি নির্দেশ পালন করলাম, পূনরায় তার সান্নিধ্যে উপস্থিত হলাম। পূনরায় আদেশ করলেন, আমার নিকট কিছু দিন অবস্থান করো, আরজ করলাম, পীর ও মুর্শিদের হুকুম আমার শিরোধার্য। (আনিসুল আরওয়াহ, পৃ: ১–২)
খাজা গরীবে নেওয়াজের উপদেশাবলী: হযরত খাজা কুতুব উদ্দিন বখতিয়ার কাকী (র.) বর্ণনা করেন, আমাদের পীর ও মুর্শিদ হযরত খাজা মঈনুদ্দিন হাসান চিশতি সনজরী (র.) এরশাদ করেছেন, ১. যে ব্যক্তি কিছু অর্জন করেছে পীর মুর্শিদের খিদমতের বিনিময়ে পেয়েছে প্রত্যেক মুরিদের জন্য জরুরী হলো কামিল পীর মুশির্দের নির্দেশ মান্য করা। ২. পীর মুর্শিদ নামায ইবাদত বন্দেগী তরীকতের সবক ও অজীফা যা কিছু মুরীদকে প্রদান করেন কায়মনোবাক্যে তা মেনে চলা ও আমল করা মুরিদের উপর অপরিহার্য। যেন মুরীদ পূর্ণতার শীর্ষে উপনীত হতে পারে। ৩. কবরস্থানে পানাহার করা গুনাহ। কবরস্থানে যারা পানাহার করবে তারা অভিশপ্ত। কবরস্থান শিক্ষা গ্রহনের জায়গা। ৪. এমন কি আছে? যা আল্লাহর কুদরত ও শক্তির বাইরে। মানুষের জন্য অপরিহার্য আল্লাহর বিধান পালনে আলস্য ও অবহেলা না করা। (দলীলুল আরেফীন, পৃ: ২.১৬)
কা’বা শরীফে গরীবে নেওয়াজের জন্য আপন মুর্শীদের দুআ: আতায়ে রাসূল গরীবে নেওয়াজ বর্ণনা করেন, আমি আমার পীর ও মুর্শীদ হযরত খাজা উসমান হারুনী (র.)’র সাথে খানায়ে কা’বা যিয়ারতে ধন্য হয়েছি। আমার মুর্শিদে করীম মিজাবে রহমতের নীচে আমার হাত ধরে দুআ করেন, হে আল্লাহ! আমি মঈনুদ্দিনকে তোমায় সোপর্দ করলাম। তুমি মঈনুদ্দিন কে কবুল করো। অদৃশ্য থেকে আওয়াজ এলো আমি মঈনুদ্দিনকে কবুল করলাম। পীর মুর্শীদ হযরত উসমান হারুনী (র.) এ আওয়াজ শ্রবণ করে অত্যন্ত খুশী হলেন এবং আল্লাহর দরবারে শোকরানা সিজদা আদায় করলেন। (আনিসুল আরওয়াহ, পৃ: ২, আনোয়ারুল বায়ান, খন্ড: ২, পৃ: ২৭৩)
সন্তান, সন্ততি: খাজা গরীবে নেওয়াজের তিন জন সন্তান। ১. সৈয়্যদ ফখরুদ্দিন আবুল খায়র, ২. সৈয়্যদ যিয়াউদ্দিন আবু সাঈদ, ৩. সৈয়্যদ হোসামুদ্দিন আবু সালেহ, একজন কন্যা, সৈয়্যদা বিবি হাফেজা জামাল। (খযীনাতুল আসফিয়া, খন্ড: ১, পৃ: ২৬৩)
কারামত: অলীগণ খোদা প্রদত্ত ক্ষমতার অধিকারী। অলীগনের কারামত সত্য, গরীবে নেওয়াজের অসংখ্য কারামত যা ক্ষুদ্র পরিসরে বর্ণনাতীত। একটি প্রসিদ্ধ কারামত হলো, হিন্দুস্তানের বাদশাহ, হযরত আওরঙ্গজেব আলমগীর গরীবে নেওয়াজের মাজারে হাজির হলেন, তিনি উচ্চ আওয়াজে মাজারে আকদসে সালাম পেশ করলেন। এ আক্বিদা বিশ্বাসে সালাম দিলেন যে, যদি সালামের জবাব পাওয়া যায় তাহলে ঠিক, অন্যথায় তিনি মাজার ভেঙ্গে মাটির সাথে সমান করে দিবেন, তিনি বরাবরই গরীবে নেওয়াজের দরবারে দু’বার সালাম দিলেন, দু’বারই সালামের উত্তর পেলেন না। তৃতীয়বারে যখনই সালাম পেশ করলেন কবর শরীফ থেকে জবাব আসলো “ওয়া আলাইকুম সালাম ইয়া হুজ্জাতাল ইসলাম” এতে তিনি বিস্ময়করভাবে প্রভাবিত হন। এতে গরীবে নেওয়াজের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ভালবাসা এতো অধিক বৃদ্ধিপেল, তিনি বিভোর হয়ে পড়েন, মুরাকাবায় তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন, স্বপ্নযোগে গরীবে নেওয়াজের দিদার লাভে ধন্য হন। আরজ করলেন, হুযুর আমার প্রথম দুবারে সালামের উত্তর পেলাম না তৃতীয়বারে উত্তর পেলাম। গরীবে নেওয়াজ উত্তর দিলেন, প্রথম যখন তুমি আমাকে সালাম করেছিলে তখন আমি মক্কা মুআজ্জমার সন্নিকটে সিজদাবনত ছিলাম। দ্রুত সিজদা সমাপ্ত করে তোমার সালামের উত্তর দিলাম। (মুঈনুল আরওয়াহ, পৃ: ৩১৬)
উপমহাদেশে তরবারীর জোরে নয় হিন্দাল অলীর ব্যবহারিক জীবনের আদর্শ তাঁর ত্যাগ সাধনা ও অসাধারণ খোদা প্রদত্ত ক্ষমতা রুহানী শক্তি ও আধ্যাত্মিক ক্ষমতার আকর্ষনে ইসলামী শিক্ষা ও আদর্শ ও তৌহিদের মর্মবানী শান্তি ও সাম্যের দর্শন আজ প্রতিষ্ঠিত। লক্ষ লক্ষ অমুসলিমরা ইসলামের ছায়াতলে সমবেত। আল্লাহর এই মহান অলী সাতানব্বই বৎসরের আদর্শ জীবন লাভ করে ৬ রজব তাঁর প্রভূর সান্নিধ্যে গমন করেন। মহান আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর জীবনাদর্শ অনুসরণ করার তাওফিক নসীব করুন।
লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা–এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী);
খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।
মুস্তাফিজুর রহমান রুমেল
পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন: হযরত কুতুব উদ্দিন বখতিয়ার কাকী (র.) ইন্তিকালের পূর্বে কী ওসীয়ত করেছিলেন, জানালে কৃতার্থ হব।
উত্তর: হিন্দাল অলী খাজা গরীবে নেওয়াজের প্রধান খলিফা হযরত কুতুব উদ্দিন বখতিয়ার কাকী (র.) ইন্তিকালের পূর্বে ওসীয়ত করেছিলেন যে, আমার জানাযা নামাযে যেন এমন ব্যক্তি ইমামতি করেন, যিনি কখনো হারাম কাজ করেননি, কখনো আসরের সুন্নত ত্যাগ করেন নি, যার নামাযে তাকবীরে উলা প্রথম তকবীর কখনো বাদ পড়েনি। এমন সৌভাগ্য কার জন্য অপেক্ষা করছে, ইন্তিকালের পর জানাযার জন্য, তখন সকলে সারিবদ্ধ, কেউ যখন জানাযায় ইমামতির জন্য অগ্রসর হচ্ছিল না তখনি জানাযার ইমামতির জন্য সামনে অগ্রসর হলেন তাঁর একনিষ্ট মুরীদ ও অন্যতম খলিফা দিল্লীর বাদশাহ সুলতান সামসুদ্দীন আলতামাস। তিনি উল্লেখ করেন আমার ইচ্ছে ছিল কেউ যেন আমার অবস্থা অবগত না হয়, কিন্তু আমার পীর ও মুর্শীদ আমার অবস্থা প্রকাশ করে দিলেন। সুলতান সামসুদ্দীন আলতামাস স্বীয় পীর–মুর্শীদ হযরত কুতুব উদ্দিন বখতিয়ার কাকী (র.)’র জানাযা পড়ায়েছেন। দিল্লীতে তাঁর মাযার শরীফ অবস্থিত। (খযীনাতুল আসফীয়া, খন্ড:১, পৃ: ২৭৫), হিন্দাল অলী গরীবে নেওয়াজের প্রধান খলিফা ও একনিষ্ঠ মুরীদ ছিলেন হযরত কুতুব উদ্দিন বখতিয়ার কাকী (র.) ১৪ রবিউল আউয়াল শরীফে ৬৩৩ হিজরিতে ইন্তিকাল করেন। (সিয়রুল আউলিয়া, পৃ: ৬৫, আনোয়ারুল বয়ান, খন্ড: ২য়, পৃ: ৩৫০)