জিম্মি নাবিকদের ছাড়াতে কত লাগল?

| মঙ্গলবার , ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিককে মুক্ত করতে আদৌ কোনো মুক্তিপণ দিতে হয়েছে কিনা, তা নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা গেলেও সঠিক কোনো তথ্য মিলছে না। বাংলাদেশ সরকার ও জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ কর্তৃপক্ষের কেউ মুক্তিপণ দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেনি। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী রোববার সকালে বলেছেন, মুক্তিপণ দেওয়ার কোনো তথ্য সরকারের কাছে নেই। গত ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে কবির গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। নানা দেনদরবার শেষে বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ৩টার দিকে জাহাজটিসহ মুক্তি পান নাবিকদের সবাই। খবর বিডিনিউজের।

জাহাজ ছিনতাইয়ের পর থেকে দস্যুদের মুক্তিপণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে জলদস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগও করে। কিন্তু নাবিকদের ছাড়াতে মুক্তিপণ লেগেছে কিনা, কিংবা কী পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে তারা ছাড়া পেয়েছেন, সে সম্পর্কে সরকার কিংবা জাহাজের মালিকপক্ষের কেউ কথা বলেননি।

তবে নাবিকদের মুক্তির কয়েক ঘণ্টা পর দুজন জলদস্যুর বরাতে ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণের কথা লিখেছে রয়টার্স। সোমালিয়ার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোও একই পরিমাণ মুক্তিপণের খবর দিয়েছে। আবদিরশিদ ইউসুফ নামে এক জলদস্যু বলেন, দুই রাত আগে আমাদের কাছে ওই অর্থ নিয়ে আসা হয়। সেগুলো আসল নাকি ভুয়া তা যাচাই করে দেখেছি। এরপর তা আমরা ভাগবাটোয়ারা করে সরকারি বাহিনী এড়িয়ে চলে যাই।

মুক্তিপণ হাতে পাওয়ার পরই জাহাজসহ সব নাবিককে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান রশিদ। তবে বিষয়টি নিয়ে সোমালিয়া সরকারের কোনো বক্তব্য জানতে পারেনি রয়টার্স।

বাংলাদেশি নাবিকদের ছাড়াতে ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণের কথা বলেছে সোমালিয়ার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোও। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে দ্য ডেইলি সোমালিয়া ও গারও অনলাইন নামে দুটি সংবাদ মাধ্যম তাদের এঙ হ্যান্ডেলে লিখেছে, ৫০ লাখ ডলারের বিনিময়ে বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের ছেড়ে দিয়েছে দস্যুরা।

মুক্তিপণের বিষয়ে জানতে চাইলে সরাসরি কোনো উত্তর দেননি এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ এসআর শিপিংয়ের সিইও মেহেরুল করিম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবৃহত্তর চট্টগ্রামের ১৮ উপজেলায় তিন পদে প্রার্থী ১৬৯ জন
পরবর্তী নিবন্ধদুই নাবিকের বর্ণনায় ৩২ দিনের জিম্মি জীবন