আর একদিন পরেই অর্থাৎ আগামীকাল রোববার সিলেটে শুরু হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ। তার আগে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ ফিল সিমন্স। একইদিনে ৬২ বছরে পা দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই সাবেক ব্যাটার। নিজের জন্মদিনে চাওয়া জিম্বাবুয়েকে হারানো। এই জয়ই হতে পারে বাংলাদেশ দলের পক্ষে থেকে তার জন্মদিনের সচাইতে বড় উপহার। সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে হাসতে হাসতে সিমন্স বলেন, আমি এখন আর জন্মদিনের উপহার চাই না। তবে প্রথম টেস্ট জিতলে এটা ভালো একটা উপহার হয়ে যাবে। জিম্বাবুয়েকে প্রপার উইকেটেই হারাতে চান বাংলাদেশের কোচ। তিনি বলেন আমাদের পরিকল্পনায় প্রপার উইকেট। আমরা যেরকম টেস্ট দল হয়ে উঠতে চাই, সেজন্য যেমন উইকেট দরকার সেরকমই চাই। জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য স্পিন ট্র্যাক তৈরি করার প্রয়োজন নেই। প্রপার উইকেটে খেলেই আমরা টেস্ট জিততে চাই। স্পিন ট্র্যাক, সিমিং ট্র্যাক এমন কোনো আলোচনা হয়নি। এদিকে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়েও কথা বলেছেন সিমন্স। বর্তমানে মুশফিক ভালো ফর্মে না থাকলেও শিগগিরই ফিরবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। সিমন্স বলেন প্রথমত বলব, বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সে অনেক কিছু দিয়েছে। সে এবং মাহমুদউল্লাহ দুজনই বাংলাদেশের ক্রিকেটের অণ্যতম সেরা তারকা। একথা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নাই। গত অনেক বছর ধরে দেশের জন্য অনেক কিছু অর্জন করেছে তারা । তাছাড়া মুশফিক একজন প্রফেশনাল ক্রিকেটার। সে মনে করে এখন এই ফরম্যাটে নিজেকে উজাড় করে দিতে পারবে। এবং সে ভালোও করছে। কঠোর পরিশ্রম করছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার দারুণ কীর্তি আছে। আশা করি এই টেস্টেও ভালো করবে। কারন দলের সবচাইতে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সে। দলকে কিভাবে এগিয়ে নিতে হয় সেটা সে বেশ ভালই জানে। নিজের দল নিয়েও বেশ আশাবাদি বাংলাদেশ দলের কোচ। তরুণরা এখন বেশ ভাল করছে। তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঝয় ছাড়া তিনি আর কিছু ভাবতে চাননা। যদি জন্মদিনের উপহারের কথা বলেন তাহলে শীষ্যদের কাছে এই ম্যাচে জয়টাই চাইব। কারন জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করতে পারাটা বিরাট একটা ব্যাপার। কারণ জয় দিয়ে শুরু করতে পারা মানে এগিয়ে থাকা। আর এগিয়ে থেকেই চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে খেলতে নামতে চান সিমন্স। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলে সিলেট গেছে। সেখানে গত চারদিন ধরে ক্যাম্প করছে। প্রথম টেস্টের জন্য নিজেদের ঝালাই করে নিচ্ছে। এরই মধ্যে গত বৃহষ্পতিবার জিম্বাবুয়ে দলও সিলেটে পৌছে গেছে। সিমন্স বলেন টেস্ট ক্রিকেটে গত বছর মিশ্র অভিজ্ঞতার স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। দেশের বাইরে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারালেও, নিজেদের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়াই করতেই পারেনি তারা। হতশ্রী পারফরম্যান্সে চার ম্যাচই হেরেছে খুব বাজেভাবে। তাই শক্তি–সামর্থ্য কিংবা সামপ্রতিক ফর্মসহ সার্বিক বিবেচনায় বেশ পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে খেলতে নামছে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অবশ্য সামপ্রতিক পরিসংখ্যানে পরিষ্কার এগিয়ে বাংলাদেশ। মুখোমুখি লড়াইয়ে সবশেষ আট ম্যাচে মাত্র একটি হেরেছে তারা। সবশেষ তিন টেস্টেই জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে তারা বিশাল ব্যবধানে। তবু আগেভাগে কোনো হুঙ্কার দিতে চান না বাংলাদেশ কোচ। একটি করে ম্যাচ ধরে এগোতে চান তিনি। হোয়াইটওয়াশ করার ব্যাপারে জানি না। আমি একটি করে পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে। এখানে প্রথম টেস্ট হবে, জিতলে পরের ম্যাচ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করব, সিরিজ জেতার আলোচনা করব। প্রথম টেস্ট জেতার জন্য প্রথম দিন জিততে হবে। এভাবেই ভাবতে পছন্দ করি। এখনই চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবতে পারব না। আপাতত সিলেট টেস্টে মনোযোগ দিতে হবে।
