জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহননের ঘটনায় আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারসহ বেশ কয়েকটি দাবি তুলে সেসব বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষকে ৭ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন। গতকাল রোববার রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আন্দোলনকারীরা মশাল মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ চত্বর হয়ে ক্যাম্পাস হয়ে ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়। সেখানে সমাবেশে বেশ কয়েকটি দাবি তোলেন আন্দোলনকারীরা। খবর বিডিনিউজের।
দাবিগুলো হলো, ১. অবিলম্বে তদন্ত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। ২. অভিযুক্তদের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তৎকালীন প্রক্টরিয়াল বডিকে তদন্ত সাপেক্ষে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। ৩. আগে ঘটে যাওয়া সকল নিপীড়নের বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে। ৪. দ্রুততম সময়ে নিরপেক্ষ যৌন নিপীড়ন দমন সেল গঠন করতে হবে এবং প্রতিটি বিভাগে অভিযোগ বক্স স্থাপন করতে হবে। ৫. শিক্ষার্থীদের জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিতে হবে।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম রাজ বলেন, আমরা সর্বদা বলিষ্ঠ কন্ঠে অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করে বলতে চাই, অবন্তিকার ঘটনায় যে যতটুকু অন্যায় করেছে তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসুক। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তারা যদি সত্যিকারের অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশের আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম হৃদয় বলেন, অবন্তিকারা বারবার জন্মায় না, এরা যুগে যুগে জন্মায়। অবন্তিকার মতো মেধাবী তরুণী যদি এভাবে ঝরে পড়ে তাহলে বাংলাদেশ মেধাশূন্য হয়ে পড়বে। দোষীদের আটক করা হয়েছে, সেজন্য আমরা প্রশাসনকে অভিবাদন জানাই। আমরা আগামী সাতদিনের মধ্যে পুরো ঘটনার সমাধান চাই। এর ব্যত্যয় ঘটলে আমরা চূড়ান্ত আন্দোলনে নামব।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে একই সময়ে বামপন্থীরা প্রতীকী আন্দোলন করেছেন। গলায় রশি বেঁধে ও মুখে টেপ লাগিয়ে তারা আন্দোলনে অংশ নেন।