নগরে এখন সক্রিয় রয়েছে অন্তত ২০০ কিশোর গ্যাং। একেকটি দলে রয়েছে ৫ থেকে ১৫ জন সদস্য। নগরজুড়ে এদের সদস্য সংখ্যা অন্তত ১৪০০। সিএমপির ১৬টি থানা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নগরজুড়ে কিশোর গ্যাংকে পৃষ্ঠপোষকতা বা প্রশ্রয় দিচ্ছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৫ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ ৬৪ ‘বড় ভাই’। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ৪৫টি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেন তাঁরা।
আসন্ন পবিত্র ঈদ–উল–ফিতরকে কেন্দ্র করে ছিনতাই এবং চাঁদাবাজি প্রতিরোধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে উল্লেখিত কিশোর গ্যাং গ্রুপের ছয় প্রধানসহ ৩৩ জন সক্রিয় সদস্যকে দেশীয় অস্ত্র–শস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব–৭। বুধবার (২৭ মার্চ) মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছিনতাই এবং চাঁদাবাজির প্রস্তুতিকালে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ফরেস্টগেট রেল ক্রসিং এলাকা থেকে রুবেল গ্রুপের প্রধান রুবেলসহ ৬ জন, মোহাম্মদপুর এয়ার বিল টাওয়ার এলাকায় বাচা গ্রুপের প্রধান বাচা মিয়া প্রকাশ বাচা সোহেলসহ ৫ জন, বায়েজিদ বোস্তামী থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকা থেকে জনি গ্রুপের ৫ জন, পাহাড়তলী থানার ১২ কোয়ার্টার এলাকা থেকে সাজ্জাদ গ্রুপের ৭ জন, সরাইপাড়া এলাকা থেকে সাকিব গ্রুপের ৬ জন এবং বিপুল গ্রুপের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।