বাংলা বর্ষপঞ্জি ১৪২৯ বর্ষের শেষ দিন গতকাল বৃহস্পতিবার রাউজানের পাহাড়তলী মহামুনি বৌদ্ধ মন্দিরে এসে সমবেত হয়েছেন বিপুল সংখ্যক আদিবাসী নর–নারী। সকাল থেকে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙামাটি, রামগড়সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসে সমবেত হয়েছেন তারা। তারা প্রাচীন মহামুনি বৌদ্ধ মন্দিরে পূজা দেন রাত জেগে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্দির এলাকা পরিদর্শন করে দেখা গেছে, প্রায় আধা বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আদিবাসী নারী পুরুষের ভিড়। অনেকেই গাছতলায় বিছানা পেতে বসে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজন জোটবদ্ধ হয়ে বড় বড় গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিয়ে দুপুরের খাবার সেরেছেন।
পূজার্থীরা বলেছেন, তারা পূণ্যময় রাতটির অপেক্ষায় রয়েছে। আদিবাসীদের এখানে অভ্যর্থনা জানাতে মহামুনি মন্দির কমিটি প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছে। থানা পুলিশ নিরাপত্তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এলাকার চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন বলেছেন, মহামুনি মন্দির রাউজানের একটি ঐতিহ্য। এখানে প্রতি বছর পাহাড়–সমতলের মানুষের মাঝে মিলন মেলা বসে।
মন্দির কমিটির সভাপতি মন্দিরের অধ্যক্ষ অভায়ানন্দ মহাথের বলেছেন, এবার আনুমানিক ৩০ হাজার আদিবাসী নর–নারী এখানে পূজা দিতে এসেছেন। তাদের জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ সেবামূলক ব্যবস্থা। তিনি বলেন, শুক্রবার ভোর সকালে আদিবাসীরা চলে যাবেন। এদিন থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা থাকবে সমতলের মানুষের অংশগ্রহণে। চলবে সপ্তাহ ব্যাপী। বর্ষা বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে এখানে বসেছে গ্রামীণ মেলা।