রাজধানীর রমনা ও পল্টন মডেল থানার নাশকতার চারটি মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত গতকাল বৃহস্পতিবার শুনানি নিয়ে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তার জামিনের আদেশ দেয়।
আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, পৃথক দুই থানায় আট মামলার মধ্যে চার মামলায় জামিন পেয়েছেন আমীর খসরু। তবে অন্য চার মামলায় নথি না থাকায় শুনানি হয়নি। আশা করি সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলার নথি আসলে জামিন শুনানি হবে এবং তিনি জামিন পাবেন। খবর বিডিনিউজের।
শুনানি উপলক্ষে গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে এই বিএনপি নেতাকে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর ২টার দিকে হাজতখানা থেকে নেওয়া হয় এজলাসে। আমীর খসরুর পক্ষে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ও মহসিন মিয়া জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। আগের দিন বুধবার পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পান আমীর খসরু। অন্য মামলাগুলোতেও শুনানি নেওয়ার বিষয়ে গতকাল বিচারক বলেন, দেখি, নথি পাওয়া গেলে, উপস্থাপন করা গেলে, আজই শুনানি নেব।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সমাবেশে আসা বিএনপি নেতাকর্মীরা ওই সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানায় করা মামলাগুলোর মধ্যে নয়টিতে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে সমাবেশের দিন পুলিশ কনস্টেবল আমিনুল পারভেজ হত্যা মামলায় গত ২ নভেম্বর রাতে গুলশানের বাসা থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরদিন তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ৯ নভেম্বর রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।