বর্ষা এলেই ধুম পড়ে যায় মাছ ধরার। সারাদেশে নদী, খাল, বিলে শত শত জেলে, মৌসুমি মৎস্য শিকারী ও শৌখিন মৎস্য শিকারীরা মেতে উঠে মাছ আহরণে। অতীতে বরশী, ঝাকিজাল দিয়ে মাছ ধরলেও কালের বিবর্তনে এখন সবাই চায়না দুয়ারী দিয়ে মাছ শিকার করে। এটিকে অনেকে ম্যাজিক জাল বা ঢলুক জালও বলে থাকে। এই জালের বুনন অত্যন্ত ছোট হওয়ায় যেকোনো আকারের মাছ নিমিষেই এটাতে আটকা পড়ে। ছোট থেকে বড় সব ধরনের মাছই এই জালে ধরা পড়ে আর একবার এই জালের ভেতর ঢুকে পড়লে মাছ বের হবার কোন সুযোগই থাকে না। তাই বর্ষা মৌসুমে এই জালের ব্যবহার খুব বেড়ে যায়। তবে এই চায়না দুয়ারী বা ম্যাজিক জাল অত্যন্ত ভয়ানক ও ঝুঁকিপূর্ণ বটে। কারণ এই জালের যত্রতত্র ব্যবহারের ফলে বিলুপ্ত হতে পারে দেশীয় মাছ। কারণ এই জালে ছোট ছোট পোনা মাছ এমনকি মাছের ছোট ডিমও আটকা পড়ে। তাই এই জাল ব্যবহার করা দেশীয় মাছের জন্য অনেকটাই ক্ষতিকর। চায়না দুয়ারী উৎপাদন, বাজারজাত, বিক্রি ও ব্যবহার করাকে সরকারিভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। সেই সাথে এই জাল ব্যবহারকারীকে সাজার আওতাভুক্ত করা হচ্ছে। সর্বোপরি আমাদের দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশ বৃদ্ধি এবং নদী, খাল, বিলের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চায়না দুয়ারী বা ম্যাজিক জাল ব্যবহার করা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে।
ইমরান খান রাজ
দোহার, ঢাকা।