চসিকের দুই কাউন্সিলরসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পাহাড় কেটে অবৈধ আবাসন প্রকল্প নির্মাণ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৬:৪০ পূর্বাহ্ণ

কোন ধরনের নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে পাহাড়ে অবৈধভাবে আবাসন প্রকল্পের জন্য নির্বিচারে পাহাড় ও টিলা কেটে প্লট বিক্রি ও সড়কউপসড়ক নির্মাণের দায়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দুই কাউন্সিলরসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৪০৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা। আকবর শাহ থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামিদের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নিছার উদ্দিন মঞ্জু ও ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ জহুরুল আলম জসিম যথাক্রমে ৩ ও ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

নগরীর আকবরশাহ থানাধীন মিরপুর মালিক কল্যাণ কোঅপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেড নামে পাহাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে মিরপুর আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়। মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয় মিরপুর মালিক কল্যাণ কোঅপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম এবং দুই নম্বর আসামি করা হয় সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেনকে। পরিবেশ অধিদপ্তরের রিসার্চ অফিসার মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি রুজু করেন। গতকাল মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে জানান, আকবরশাহ থানাধীন জঙ্গল লফিতপুরের সলিমপুর ইউনিয়নের মিরপুর আবাসিক কল্যাণ কোঅপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি. এলাকায় অননুমোদিতভাবে পাহাড় কাটার দায়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের পক্ষে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, জহুরুল জসিমের বিরুদ্ধে আগেও পরিবেশ অধিদপ্তর পাহাড় কাটা, জলাশয় ভরাটের দায়ে একাধিক মামলা ও জরিমানা করে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আকবরশাহ, পাহাড়তলী, খুলশীসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এসব মামলার অনেকগুলোই বিগত সরকারের আমলে দায়ের করা হয়। তার বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাং, অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ব্যবসাসহ বিভিন্ন অভিযোগও রয়েছে। ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা অ্যাড. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মীদের উপর হামলার মামলায় চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি তাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বরখাস্ত করে। গত ১২ আগস্ট তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করে মন্ত্রণালয়।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, উল্লেখিত ১৪নং আসামিরা অজ্ঞাত ৪০৫০ জনের একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশ অমান্য করে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ব্যতিরেকে মিরপুর মালিক কল্যাণ কোঅপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি. নামে আবাসন প্রকল্প স্থাপন করে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে ৪ থেকে ৫ একর জায়গার মধ্যে ২৫০টি প্লট তৈরি এবং বিক্রি করে আসছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএবারের বন্যায় ক্ষতি ১ লাখ ৫৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল
পরবর্তী নিবন্ধড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি ১৯৮বিশ্বনেতার সমর্থন