চলমান জীবনে মানুষের আর্তনাদ

শরণংকর বড়ুয়া | রবিবার , ৪ জুন, ২০২৩ at ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

প্রকৃতির কী লীলা চারদিকে হাহাকার। মানুষ, পশু পাখি কেউ স্বস্তিতে নেই গরম প্রচণ্ড গরম। বিদ্যুৎ যায় আর আসার খবর থাকে না। চলমান জীবনে অস্থিরতা বিরাজ করছে। কোথাও কোন বিষয়ে শান্তি নেই। লক্ষ লক্ষ মানুষ চাকরিচ্যুত ও বেকার। যাদের চাকরি আছে অল্প বেতন, বেতন বৃদ্ধির কোনো খবর নেই। কথায় আছে ঐ বেতনে ‘নুন আনতে পান্তা ভাত ফুরায়’। দ্রব্যমূল্যের প্রতিনিয়ত উর্ধ্বগতি আয় আর ব্যয়ের সাথে হিসেব মিলছে না। লোভী স্বার্থান্বেষীরা সুযোগ বুঝে দাম বাড়িয়ে পকেট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে জনগণের কাড়ি কাড়ি টাকা। বনে যাচ্ছে মুহূর্তেই মধ্যে কোটিপতি। কিছু সংখ্যক মানুষ সুখে থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। পরিবারের খরচের লাগাম টানতে হিমশিম খাচ্ছে। অন্যদিকে বিশ্ব এবং নিজ দেশে রাজনৈতিক অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। একজন রিক্সাচালক বলছেন লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট দিয়ে কী হবে। আমারাতো কোনো সুফল পাচ্ছি না, পাবোও না। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে নিজ দেশের উৎপাদিত জিনিস ও চড়া দামে কিনতে হচ্ছে তাও ওজনের হেরফের থাকছেই। এই সবের জন্য দেখার কেউ নেই তাই কৈফিয়ত দেওেয়ারও প্রয়োজন নেই। রিক্সা টেক্সীতে উঠলে চড়া ভাড়া। তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই এদেরও সংসার আছে। আমরা আগে ছিলাম ম্যানুয়াল লাইফে তার পর ডিজিটাল লাইফে আর এখন নাকি স্মার্ট লাইফ শুরু হয়ে গেছে! তাই হয়তো আমাদের মত মানুষের দুঃখ দুর্দশা বেড়েই চলেছে। এই সংকটময় দিনগুলো আমরা কখনো এড়িয়ে যেতে পারবো না। যতদিন না আকাঙ্ক্ষিত স্মার্ট দেশে নিয়ম কানুনে তারতম্য বজায় থাকবে। এই জন্য সরকারকে আরো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ সহ মাঠ পর্যায়ে তদারকী করতে হবে। এতেই স্মার্ট লাইফের সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোডশেডিংয়ের নাকাল থেকে পরিত্রাণ চাই
পরবর্তী নিবন্ধচাওয়া পাওয়ার প্রগাঢ়তায়