চন্দনাইশে ট্রাকের ধাক্কায় স্কুল শিক্ষিকা নিহত

পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় পটিয়ায় নারী ও টেকনাফে স্কুলছাত্রী নিহত

আজাদী ডেস্ক | শুক্রবার , ২০ নভেম্বর, ২০২০ at ৭:২২ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশে ট্রাকের ধাক্কায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকসার যাত্রী ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক স্কুল শিক্ষিকা নিহত হয়েছেন। টেকনাফে বেপরোয়া টমটম ওল্টে প্রাণ গেল স্কুল ছাত্রীর। অন্যদিকে ব্যাটারি চালিত বেপরোয়া রিক্সার ধাক্কায় পটিয়ায় নিহত হয়েছেন এক পথচারী নারী।
আমাদের চন্দনাইশ প্রতিনিধি জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার দোহাজারী পৌরসভাধীন দেওয়ানহাট এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় নিহত স্কুল শিক্ষিকার নাম জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৫)। ব্যাটারি চালিত অটোরিকসাযোগে তিনি স্বামী নুরুল আলমকে নিয়ে ব্যক্তিগত কাজে দোহাজারী যাচ্ছিলেন। এ সময় তাদের বহনকৃত অটোরিকসাটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দেওয়ানহাট এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা পেঁয়াজ বোঝাই একটি দ্রুতগতির ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে স্বামী-স্ত্রী দু’জনই গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌসকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত জান্নাতুল উপজেলার হাশিমপুর জাতীয় তরুণ সংঘ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। এ ব্যাপারে দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াছির আরাফাত জানান, ঘটনার ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। তবে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। টেকনাফ প্রতিনিধি প্রতিনিধি জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে খারাংখালী গোদার পাড় এলাকায় হ্নীলাগামী একটি মিনি টমটম নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওল্টে গেলে কাঞ্জর পাড়া প্রাইমারি স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী জেসমিন আকতার (১১) গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী চিকিৎসা কেন্দ্রে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত জেসমিন কাঞ্জর পাড়ার মো. শাহ আলমের মেয়ে। সে ফুফুর সাথে টমটম গাড়িতে করে হ্নীলা যাচ্ছিল বলে জানা যায়।
স্থানীয় মেম্বার আব্দুল গাফ্‌ফার জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে।
পটিয়া প্রতিনিধি জানান, ব্যাটারি চালিত বেপরোয়া রিঙার ধাক্কায় পটিয়ায় এক মহিলা নিহত হয়েছেন। তার নাম ওলামা খাতুন (৫৫)। তিনি উপজেলার পূর্ব হাইদগাঁও মাহাদাবাদ গ্রামের তজির আহমদের স্ত্রী। গত বুধবার রাত ২টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বজন আবু তাহের জানান, বুধবার সকালে পশ্চিম হাইদগাঁও মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে পূর্ব হাইদগাঁও নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। ওইসময় রিঙার ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ পরে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।
হাইদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য রেখা দাশ দৈনিক আজাদীর কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই স্বেচ্ছায় অবসরের পথে চমেক অধ্যক্ষ
পরবর্তী নিবন্ধবান্দরবানে ৬ আসামির যাবজ্জীবন ও অর্থদণ্ড