চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের জুয়ার কান্ডের ঢেউ লেগেছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনেও। এবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন চট্টগ্রাম রেফারী সমিতিতে জুয়া কান্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বাংলাদেশ ফুটবল রেফারীজ এসোসিয়েশনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। গত ৩ জুন বাফুফে সাধারন সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে আগামী ১০ জুনের মধ্যে জুয়া কান্ডের বিস্তারিত জানাতে বলেছে বাংলাদেশ ফুটবল রেফারীজ এসোসিয়েশনকে। চিঠিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত “চুক্তির মাধ্যমে জুয়ার বোর্ড চলতো রেফারী সমিতিতে” এবং “ফুটবল রেফারী সমিতির অফিস সিলগালা ” দুটি সংবাদের কপিও সংযোজিত করেছে। একই সাথে যমুনা টিভিতে প্রচারিত একটি সংবাদেরও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে কোথাও কোন জুয়ার আসর না থাকলেও চট্টগ্রাম রেফারী সমিতির এই জুয়া কান্ড বেশ সাড়া ফেলেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। যার ঢেউ গিয়ে পড়েছে ফুটবল ফেডারেশনে।
এদিকে রেফারী সমিতির জুয়া কান্ডের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা গঠিত তদন্ত কমিটি ১১ জনকে ডেকেছিল। তাদের কাছ থেকে মৌখিক এবং লিখিত বক্তব্য নিয়েছে তদন্ত কমিটি। যাদের কাছ থেকে বক্তব্য নিয়েছে তদন্ত কমিটি তারা হলেন চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল রেফারী এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি এডভোকেট মনজুরুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক(যিনি ইতোমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন) আবদুল হান্নান মিরন, যুগ্ম সম্পাদক হেলাল উদ্দিন টিপু, অর্থ সম্পাদক দিপাশ মুৎসুদ্দি, সদস্য প্রনব দেব দাশ, বিশ্বজিত সাহা, রেফারী সমিতির পিয়ন গোবিন্দ দাশ, খেলোয়াড় বিপুল বৈদ্য, এবং যাদের সাথে চুক্তি ছিল সেই সীমান্ত সেন এবং তার ভাই কৃঞ্চ কমল সেন। তদন্ত কমিটির প্রধান মো. হাফিজুর রহমান জানান যাদের সাথে কথা বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন তাদের সবার সাথে কথা বলা শেষ। নতুন করে আর কারো সাথে কথা বলার দরকার নেই।
এখন তিনি তার রিপোর্ট দেবেন। যাদের সাথে কথা বলেছেন তাদের সব বক্তব্য লিখিতভাবে নিয়েছে তদন্ত কমিটি। এখন তদন্ত কমিটির কাছে যেসব তথ্য প্রমাণ রয়েছে তার সাথে যারা বক্তব্য দিয়েছেন তাদের বক্তব্য মিলিয়ে আগামী দু-একদিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন হাফিজুর রহমান। আর সে রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে জেলা ক্রীড়া সংস্থা কি শাস্তি প্রদান করে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।