চট্টগ্রাম থেকে ১৫০০ টাকায় শিয়াল কিনে কুমিল্লায় ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি

আজাদী অনলাইন | বৃহস্পতিবার , ১১ নভেম্বর, ২০২১ at ৪:০৯ অপরাহ্ণ

প্রকাশ্যে শিয়াল জবাই করে মাংস বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। বুধবার বিকালে এক ব্যক্তি তার মোবাইলে শিয়াল জবাই করে মাংস বিক্রি করার ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, সাইফুল ইসলাম, মরণ ও লিটনসহ কয়েক যুবক ও তার সহযোগীরা লাকসাম দৌলতগঞ্জ রাজঘাট নতুনবাজারে প্রকাশ্যে একটি শিয়াল জবাই করতে দেখা যায়। মাংস বিক্রি করার জন্য ক্রেতাদের তাড়াতাড়ি ক্রয় করার জন্য স্থান পরিচয় দেয়। এমনকি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নিজেদের বানানো শিয়ালের মাংসের নানা উপকারিতার কথা উল্লেখ করে শিয়ালের মাংস প্রতি কেজি ১০০০ টাকা দাম হাঁকিয়ে ভিডিওতে প্রকাশ করেন।

মাংস বিক্রেতা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে লাকসাম রেললাইন এলাকায় একটি শিয়াল বিক্রি করার জন্য চট্টগ্রাম থেকে আসেন দুই যুবক। খবর পেয়ে পৌরশহরে রাজঘাট এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম, মরণ ও লিটনসহ কয়েকজন যুবক মিলে তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫শ টাকা দিয়ে শিয়ালটি ক্রয় করেন।

দুপুরে দৌলতগঞ্জ বাজার রাজঘাট ব্রিজসংলগ্ন নতুনবাজারে শিয়ালটি জবাই করার জন্য স্থানীয় কসাই জিয়া নামে এক ব্যক্তিকে ১৫০ টাকা দেওয়া হয়। ওই বাজারে প্রকাশ্যে শিয়ালটি জবাই করার সময় এক ব্যক্তি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে থাকেন। এ সময় সাইফুল ও মরণসহ (মরা) তাদের সহযোগীরা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নিজেদের বানানো শিয়ালের মাংসের নানা উপকারিতার কথা উল্লেখ করছিলেন। ভিডিও ধারণকারীও মাংস বিক্রেতা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাংস ক্রয় করা ব্যক্তিরা বলেন, মাংস বিক্রেতারা বলেছিলেন- বাত-ব্যথা রোগ কিংবা কঠিন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে শিয়ালের মাংস রান্না করে খাওয়ার বিকল্প নেই। এসব ক্ষেত্রে শিয়ালের মাংসই অব্যর্থ ওষুধ। তাদের সেই কথায় গলে গিয়ে কাউকে কাউকে শিয়ালের মাংস কিনতে দেখা গেছে। মানুষের বিশ্বাস করাতে পাশেই রাখা হয়েছিল শিয়ালের মাথা। খবর পেয়ে আসা জনৈক ব্যক্তিরা প্রতি ভাগ মাংস অনুমান প্রতি কেজি ৫০০-৬০০ টাকায় ক্রয় করেন। আধাঘণ্টার মধ্যেই মাংস বিক্রি শেষ হয়ে যায়।

স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, বন্যপ্রাণী জবাই করে মাংস বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ ও ইসলামে শিয়ালের মাংস খাওয়া যে হারাম তা তোমরা জান কিনা। এমন প্রশ্নে মাংস বিক্রেতা মরণ ওরফে (মরা) মাথা নেড়ে জানেন না বলে জানান। এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মনসুর আহমেদ মুন্সি বলেন, বিষয়টি আমি জানি না, যে এলাকায় শিয়াল জবাই ও মাংস বিক্রি করা হয়েছে সেটি আমার ওয়ার্ডে নয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম সাইফুল আলম বলেন, বন্যপ্রাণী জবাই করে মাংস বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, এ ঘটনায় খবর নিয়ে তদন্ত করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলি, যুবক নিহত
পরবর্তী নিবন্ধসিআইইউতে এসডিএসের বিতর্ক বিষয়ক ওয়ার্কশপ