চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ : চট্টগ্রামের উন্নয়নের অংশীদার

মো. দিদারুল আলম | মঙ্গলবার , ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ১৮৮৫ সালে পথচলা শুরু করে সময়ের পরিক্রমায় বিভিন্ন নামে, কর্মকান্ডে ও গঠনে পরিবর্তিত হয়েছে। দীর্ঘ ১৩৮ বছরে এটি ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড, ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল হয়ে সর্বশেষ জেলা পরিষদ নাম ধারণ করেছে। কালেক্টর, জেলা প্রশাসক, পরবর্তীকালে ১ম নির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ আবদুস সালাম হয়ে দায়িত্বে এসেছেন জনাব এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম। রাজস্ব আয়, বাজেট, প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা, সম্পদের ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে অনন্য এক নাম। জেলা পরিষদ আইন, ২০০০ এর ২০২২ সালের সর্বশেষ সংশোধনী অনুযায়ী বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ৮২ জন। ১ জন নির্বাচিত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম জেলার ১৫ টি উপজেলার ১৫ জন নির্বাচিত পুরুষ সদস্য, ৫ জন নির্বাচিত সংরক্ষিত মহিলা সদস্য, ১৫ টি উপজেলার ১৫ জন উপজেলা চেয়ারম্যান, ১৫ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ১৫ টি পৌরসভার ১৫ জন মেয়র ও ১৫ জন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা/পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের ১ জন প্রতিনিধিসহ মোট ৮২ জন সদস্য নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ। চট্টগ্রামের মাননীয় সংসদ সদস্যগণ জেলা পরিষদের উপদেষ্টা। জেলা পরিষদ নির্বাচনটিও বাংলাদেশের একটি ব্যতিক্রমী নির্বাচন। একটি জেলার সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণের ভোটে ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্ব স্ব এলাকায় পুরুষ ও মহিলা সদস্যগণ।

অনেকের জিজ্ঞাসা থাকে এলজিইডির সাথে জেলা পরিষদের কাজের পার্থক্য কী? সবচেয়ে বড় পার্থক্য এলজিইডি সরকারের নিকট হতে প্রাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে অপেক্ষাকৃত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে, অন্যদিকে জেলা পরিষদ সাধারণত নিজস্ব আয় দিয়ে অপেক্ষাকৃত কম জনবল নিয়ে ছোট ছোট প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। জেলা প্রশাসনের সাথে জেলা পরিষদের সাধারণভাবে পার্থক্য কি? জেলা প্রশাসক কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে জেলা পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করেনে একইসাথে যিনি জেলার কার্যাক্রমসমূহের সমন্বয় করেন এবং যিনি ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা রাখেন। অন্যদিকে জেলা পরিষদের কোন কর্মকর্তার ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নেই; তবে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের জেলার মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, জেলা পরিষদের সকল সদস্য, অন্যান্য সকল জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, চট্টগ্রাম জেলার অধিবাসী সরকারি কর্মকর্তাগণ, বিশিষ্টজন, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের সাথে সমন্বয় করতে হয়। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের সাথে জেলা পরিষদের পার্থক্য কোথায়? জেলা পরিষদকে প্রকল্প গ্রহণের জন্য জেলা পরিষদের সভায় অনুমোদনের পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন গ্রহণ করতে হয় কিন্তু অন্যান্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের ক্ষেত্রে সাধারণত তাদের নিজেদের সভায় অনুমোদন করলেই চলে। অন্য সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য গৃহীত কোন না কোন প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহ কর্তৃক অর্থায়ন করা হলেও সমতলের জেলা পরিষদসমূহ এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোন প্রকল্প পায় নি।

জেলা পরিষদের জনবল কাঠামোর ক্ষেত্রে সকল জেলা পরিষদের জনবল সমান। অর্থাৎ ক্ষুদ্রতম মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাথে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের জনবলের কোন পার্থক্য নেই। জেলা পরিষদের নিজস্ব কোন কর্মকর্তা নেই। সরকারের উপসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে নির্বাহী কর্মকর্তা পদে সরকার প্রেষণে পদায়ন করে থাকে। জেলা পরিষদের নিজস্ব কোন প্রকৌশলীও নেই। একজন সহকারী প্রকৌশলী ও একজন উপসহকারী প্রকৌশলী পদের বিপরীতে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদে মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুমোদনের প্রেক্ষিতে সংযুক্তিতে একজন নির্বাহী প্রকৌশলী ও তিনজন উপসহকারী প্রকৌশলী কমর্রত রয়েছেন। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাজের পরিমাণ এত বেশি যে প্রত্যেককে সরকার নির্ধারিত কর্মঘন্টার অনেক বেশি সময় কাজ করতে হয়।

জেলা পরিষদের প্রধান কাজই মূলত গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে আরসিসি, সিসি, এইচবিবি, ব্রিক সলিং দ্বারা সড়ক উন্নয়ন, রিটেনিং ওয়াল নির্মাণ, ড্রেন নির্মাণ, কবরস্থান ও শ্মশানের গেইট ও বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণসহ অংশ বিশেষ বা সম্পূর্ণ অংশের উন্নয়ন, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় গেইট, বাউন্ডারি ওয়াল, ওয়াশ ব্লক, শহীদ মিনার নির্মাণসহ বিজ্ঞানাগার, ক্লাশ রুম, অডিটরিয়াম উন্নয়ন, মসজিদ, মন্দির, বিহার ইত্যাদির আংশিক বা সম্পূর্ণ অংশের উন্নয়ন, ঈদগাহ ও জানাজার মাঠ উন্নয়ন ইত্যাদি। জেলা পরিষদ সাধারণত নতুন কোন রাস্তা নির্মাণ করে না বরং বিদ্যমান ছোট ছোট রাস্তাসমূহ উন্নয়ন করে। এ রাস্তাগুলো সাধারণত মানুষের বসতবাড়ির নিকট থেকেই শুরু হয় বলে এগুলোর সুফল একেবারে মানুষের বাড়ি গিয়ে পৌঁছে। তবে বর্তমানে জেলা পরিষদ চট্টগ্রামবাসীর নিকট হতে প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজারের মত প্রকল্পের আবেদন পেয়ে থাকে, সেখান থেকে মাত্র ২৩ হাজারের মত প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে; পূর্বে সে সংখ্যাটি আরো অনেক কম ছিল। বিগত ২০০৮০৯ অর্থবছরে গৃহীত প্রকল্পের সংখ্যা ছিল ২১২টি এবং মোট ব্যয় ছিল ২৩৪.৬১ লক্ষ টাকা। ২০২১২২ অর্থ বছরে গৃহীত প্রকল্পের সংখ্যা ছিল ২৫০৯টি এবং ব্যয় ছিল ৮৩৯৫.১৬ লক্ষ টাকা। এ ১৩ বছরে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সক্ষমতা বেড়েছে ১০ গুনেরও বেশি। এত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও চট্টগ্রাম জেলার খুব কম এলাকাই পাওয়া যাবে যেখানে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নাম ফলক তথা উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নি। জেলা পরিষদ হতে গৃহীত প্রকল্পগুলোর সিংহভাগ বাস্তবায়িত হয় পরিষদের নিজস্ব রাজস্ব আয় হতে বাকি কিছু প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় স্থানীয় সরকার বিভাগের এডিপি এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর অভিপ্রায় হতে প্রাপ্ত বরাদ্দ হতে।

জেলা পরিষদ রাজস্ব আয় করে মূলত ইউনিয়ন পর্যায়ের ভূমি হস্তান্তর ফির ১%, নিজস্ব মার্কেটসমূহের দোকানের সেলামী ও ভাড়া, ফেরী ঘাট ইজারা, পুকুর ইজারা, নিজস্ব জমির কৃষি ও বাণিজ্যিক হারে ইজারা, ডাক বাংলোর ভাড়া, ঠিকাদারের লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন, অডিটরিয়াম ইজারা, বিভিন্ন ইজারা ও নিলামের সিডিউল বিক্রি, সেলামীতে প্রদানকৃত দোকানের হস্তান্তর ফি, অর্থ বিনিয়োগ ইত্যাদি হতে। অন্যান্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের মত উপজেলা ও জেলা পরিষদ স্থানীয় অধিবাসীদের নিকট হতে কোন ধরনের হোল্ডিং ট্যাঙ আদায় করতে পারে না। সিটি কর্পোরেশন ও পৌর এলাকাসমূহের ভূমি হস্তান্তর ফি হতে কোন অংশও জেলা পরিষদ পায় না। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মার্কেট নির্মাণ হতে কিভাবে আয় করে থাকে তার অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের একটি টিম চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ পরিদর্শন করে গেছেন। জেলা পরিষদের সকল অপারেশনাল ব্যয় নিজস্ব রাজস্ব আয় হতে মিটানো হয়ে থাকে। সাধারণত প্রকল্প বরাদ্দ পাওয়ার জন্য সবার যে পরিমাণ আগ্রহ তার বিপরীত চিত্র দেখা যায় জেলা পরিষদের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করার ক্ষেত্রে।

জেলা পরিষদ, চট্টগ্রাম দারিদ্রতা নিরসন ও নারী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জেলার অসচ্ছল, দরিদ্র ও বেকার নারীদের জন্য বিনামূল্যে তিন মাস মেয়াদী বিভিন্ন ট্রেডে নিয়মিত প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করে থাকে। জেলা পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ের ৪র্থ তলায় একটি ট্রেনিং জোন রয়েছে যেখানে ২০ জন ধারণক্ষমতার একটি কম্পিউটার ল্যাব, সেলাই ও কাটিং এর জন্য ২০ জন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ২ টি কক্ষ, ব্লক ও বাটিক, বুটিকস এন্ড ডিজাইন, এমব্রয়ডারি এবং শো পিস ও জুয়েলারীর জন্য আলাদা আলাদা প্রশিক্ষণের কক্ষ রয়েছে। ২০০৯ সাল হতে এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ হতে ৪৭৬ টি ব্যাচে মোট ৯৫০৪ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

জেলা পরিষদের অন্য একটি ঐতিহ্যগত সেবার নাম ডাকবাংলো। অতীতের সরাইখানা, পান্থশালা, মুসাফিরখানার বর্তমান রূপ আজকের ডাকবাংলো। প্রায় উপজেলায় সরকারী ব্যবস্থাপনায় একমাত্র রাত্রিযাপন করার নিরাপদ ব্যবস্থার নাম জেলা পরিষদ ডাকবাংলো। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের মালিকানাধীন সচল অবস্থায় সদর ও উপজেলা পর্যায় মিলিয়ে মোট ২০টি ডাকবাংলো রয়েছে। এর মধ্যে ২টি ডাকবাংলো বর্তমানে নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে। জেলা পরিষদের ডাকবাংলোসমূহের অতিথি হিসেবে রাষ্ট্র প্রধান বা সরকার প্রধানদের আগমনের ইতিহাসও রয়েছে। আমাদের ডাকবাংলোর কেয়ারটেকাররা রাষ্ট্রের এ সর্বোচ্চ পর্যায়ের অতিথিগণের ডাকবাংলো আগমনের স্মৃতি অতি যত্নে লালন করে যাচ্ছেন।

২০০৮০৯ অর্থবছরে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের বাজেট ছিল মাত্র ২৬.৬৬ কোটি টাকা। ২০২৩২৪ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ৩৫৪.৩১ কোটি টাকা। এ ১৫ বছরে বাজেটের আকার বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৩ গুণ। জেলা পরিষদের রাজস্ব আয়ও এ সময়ের মধ্যে প্রায় সমান হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি সংরক্ষণে জেলা পরিষদের অর্থায়নে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১২০ টিরও অধিক শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করা হয় ২৮টি যার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো সীতাকুন্ডের মিত্রবাহিনীর সমাধিস্থলে চন্দ্রনাথ মন্দিরের পাদদেশে মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র ও ফটিকছড়ির নানুপুরের বিনাজুরীতে হত্যাযজ্ঞের স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ। তাছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সময় সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রায় ১,৫০০ জনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৬০টি গৃহহীন পরিবারকে প্রতিটি প্রায় ৫.৬৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। জেলা পরিষদ হতে এ পর্যন্ত প্রায় ১১,০০০ জন এসএসসিতে সকল বিষয়ে জিপিএ, এইচএসসিতে সকল বিষয়ে জিপিএ ৫ এবং স্নাতক পর্যায়ে সিজিপিএ ৩.৫০ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। করোনাকালে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে প্রায় ২০,০০০ পরিবারকে।

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের অগ্রযাত্রায় গর্ব করার মত কিছু মেগা প্রকল্প যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ১৮ তলা বিশিষ্ট আইকনিক জেলা পরিষদ টাওয়ার, সীতাকুন্ডসন্‌দ্বীপ ফেরীঘাটের গুপ্তছড়া অংশে নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন একটি জেটি, পটিয়াতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ১,০০০ আসন বিশিষ্ট অডিটরিয়াম ইত্যাদি।

জেলা পরিষদ টাওয়ারটিতে থাকবে চট্টগ্রামের ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প, সাহিত্য, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, ব্যবসাবাণিজ্য, রাজনীতি, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ইত্যাদি নিয়ে একটি কর্নার। বর্তমানে এ কথা বলাই যায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চট্টগ্রামের উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার এবং এ প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টাই হলো চট্টগ্রামবাসীর সহযোগিতায় চট্টগ্রাম জেলার উন্নয়নে অংশীদারত্ব আরো বাড়ানো।

লেখক : প্রাবন্ধিক; নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি রাজনীতি, জঙ্গিবাদ ও মাদক চর্চা মুক্ত
পরবর্তী নিবন্ধশিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় অনন্য বিজিসি ট্রাস্ট