প্রিয় চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ, গভীর অনুতাপের সাথে লক্ষ্য করছি,আপনারা উত্তর কাট্টলী বাসীর প্রতি স্বেচ্ছাচারী ও চরম বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন। আপনি ও আপনারা জাইকা পানির প্রকল্প চালু হবার কথা শুনিয়ে উত্তর কাট্টলীবাসীকে ভরসায় রাখতেন। অথচ গত ১৭ই মার্চ ২০২১ মুজিব বর্ষ মহান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে সামনে রেখেই দেশদরদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাইকা প্রকল্প উদ্বোধন করেন। দেশের সব দৈনিকে সংবাদে হলো, আজ থেকে চট্টগ্রাম পানির সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি মিললো, নগরের আর কোথাও পানির সমস্যা থাকবেনা। নগরের যত্রতত্র সবসময় পানি পাওয়া যাবে। কিন্তু আশায় গুড়েবালি। পানির সন্ধান মিলেনি। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পাওয়া দূরে থাক রেশনিং হিসাবের পানিও জুটছেনা। যাত্রা ভঙ্গের ক্যারিশম্যটিক অভয়ারণ্য উত্তর কাট্টলীবাসীর কপালে হাত ও দুঃসহ যন্ত্রণা বিল্ডিং সহ অনেক এলাকাবাসী এলাকা ছেড়ে হালিশহর, সরাইপাড়া, উত্তর পাহাড়তলীতে আবাস গড়েন। সম্মানিত কর্তৃপক্ষ, দয়া করেন ভাবুন জনতার রোষানল। পানির ন্যূনতম প্রেসার নেই। ফলে ভুগছিতো ভুগছি। রাত জেগেও পানির দেখা মিলেনা। কোথায় মানবের নাগরিক অধিকার, সবই মিথ্যাচারের চয়ন। কর্তৃপক্ষ এভাবে আর কতদিন? বেশি অসম্ভব মনে হলে পুরো উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডকে শাস্তির বাধনে বেধে পানির পুরো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন— আমরা আর পারছিনা। পানি পানি হাহাকারে রাতের ঘুম হারাম হয়। তাই চাই কর্তৃপক্ষর সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। রেশনিং না সপ্তাহে প্রতিদিন পানির সুষ্ঠু বণ্টন। প্লিজ সহসা সুষ্ঠু নিয়ম প্রবর্তন করে উত্তর কাট্টলীবাসীর মনে স্থাপন করুন সৌম্য শান্তির নিবাস। পানির অপর নাম জীবন-এই কথাটি নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
সাহাদাত হোসাইন সাহেদ, উত্তর কাট্টলী, চট্টগ্রাম।