চট্টগ্রাম কাস্টমসে গাড়িসহ ৮২ লট পণ্যের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বেলা আড়াইটায় কাস্টমসের নিলাম শাখায় বিডারদের (নিলামে অংশগ্রহণকারী) উপস্থিতিতে দরপত্রের বাঙ খোলা হয়। এবারের নিলামে চট্টগ্রামে ১৩৯টি এবং ঢাকায় ১৬টি দরপত্র জমা পড়েছে বলে জানান নিলাম শাখার কর্মকর্তারা। কাস্টমসের নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, জাপানের তৈরি গাড়িসহ ৮২ লটে নিলামে তোলা হয়েছে কম্বলের ফেব্রিঙ, গার্মেন্টস ফেব্রিঙ, প্লাস্টিকের ব্লক, রাসায়নিক পদার্থ, কম্পিউটার সামগ্রী, বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস, স্টোন টাইলস, গ্যাসের খালি সিলিন্ডার, অ্যানিমেল ফিড এবং বৈদ্যুতিক সামগ্রীসহ নানা মালামাল।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে বিডাররা অফিস চলাকালীন সময়ে ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট জায়গায় স্থাপিত বাঙে দরপত্র জমা দেন। কাস্টমস কর্মকর্তারা এসব দরপত্র যাচাই বাছাই করে সর্বোচ্চ দরদাতার অনূকুলে বিক্রয় অনুমোদন দিবেন।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার ফয়সাল বিন রহমান বলেন, বর্তমানে প্রতি মাসে নিলাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিডাররাও স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছে। নিলামযোগ্য পণ্য নিলাম করা এবং নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করার মাধ্যমে আমরা বন্দরের ইয়ার্ড খালি করছি।
উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ কোন চার্জ পায় না।