দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চট্টগ্রাম রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে গতকাল আরো ১৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুজন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির একজন, জাসদের একজন, জাতীয় পার্টির দুজন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের পাঁচজন, কল্যাণ পার্টির একজন, বিএসএম’র একজন ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম–১ আসন থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মো. নুরুল করিম আবছার। চট্টগ্রাম–৩ আসন থেকে জাসদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন নুরুল আক্তার। চট্টগ্রাম–৪ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মো. দিদারুল কবির। এই আসন থেকে ইসলামী ফ্রন্টের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেনও। চট্টগ্রাম–৫ আসন থেকে ইসলামী ফ্রন্টের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সৈয়দ মোকতার আহমেদ। এই আসন থেকে কল্যাণ পার্টির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদও। চট্টগ্রাম–১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মোহাম্মদ জাহিদুল হক, এই আসন থেকে ইসলামী ফ্রন্টের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মুহাম্মদ আলমগীর ইসলাম বঈদীও। চট্টগ্রাম–১১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এম আব্দুল লতিফ। এই আসন থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মো. মহিউদ্দিন ও ইসলামী ফ্রন্টের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মো. রাশেদুল আমিন। চট্টগ্রাম–১২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সামশুল হক চৌধুরী। তার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মো. লোকমান খাঁন চৌধুরী। এই আসন থেকে বিএসএম’র মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এম এয়াকুব আলী। চট্টগ্রাম–১৪ আসন থেকে ইসলামী ফ্রন্টের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। তার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মুহাম্মদ মহিউদ্দিীন।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর থেকে গত ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে বিভিন্ন দলের ৩৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৫ নভেম্বরের ঘোষিত নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, বাছাই ১–৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬–১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।