রমজান উপলক্ষে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামে ১৫ উপজেলায় ১ লাখ ৮০ হাজার অতিদরিদ্র ও অসহায় দুস্থ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেবে সরকার। পবিত্র ঈদ উল ফিতরকে কেন্দ্র করে ১৫ রমজানের পর ভিজিএফের (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) এ চাল দেয়া হবে।
চাল–ডালসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ সময়ে ভিজিএফের বিনামূল্যের চাল দুস্থ–গরীব অসহায় পরিবারগুলোর মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি আনবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ লোকজন।
চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলা ও পৌরসভায় দুস্থ ও অতিদরিদ্র পরিবারগুলো ভিজিএফ কার্ডের আওতায় বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল পাবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অধীনে দেশের ৬৪ জেলার ৪৯২ উপজেলা এবং ক,খ,ও গ ক্যাটাগরির ৩২৮ পৌরসভার অতিদরিদ্র পরিবারকে প্রতি ১০ কেজি করে চাল দেয়া হবে।
এই ব্যাপারে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী আজাদীকে বলেন, ১৫ রমজানের পর করে আমরা ১৫ উপজেলা ও ১৪ পৌরসভায় ভিজিএফ কার্ডের আওতায় বিনামূল্যে প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি করে দেয়া হবে। চট্টগ্রামে মোট ১ লাখ ৮০ হাজার পরিবার ভিজিএফ কার্ডের এই চাল পাবেন। জানা গেছে, জেলা প্রশাসকরা ভিজিএফ বরাদ্দের বিষয়ে নিজ নিজ এলাকায় এমপিদের অবহিত করবেন। ভিজিএফ উপকারভোগী বাছাইয়ে ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কার্ড সংখ্যা পুনঃবিভাজন করে তালিকা তৈরি করে হতদরিদ্রদের মধ্যে বিনামূল্যের চাল বিতরণ করা হবে। জানা গেছে, ১২টি শর্ত দিয়ে এর চারটি পূরণ করে এমন ব্যক্তি বা পরিবারকে দুস্থ বলে গণ্য করে সহায়তা দিতে হবে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে–যাদের ভিটাবাড়ি ছাড়া কোনও জমি নেই, যে পরিবার দিন মজুরের আয়ের ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবারে মহিলা শ্রমিকের আয় বা ভিক্ষাবৃত্তির ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবারে উপার্জনক্ষম পূর্ণ বয়স্ক কোনও পুরুষ সদস্য নেই, যে পরিবারে স্কুলগামী শিশুকে উপার্জনের জন্য কাজ করতে হয়, যে পরিবারে উপার্জনশীল কোনও সম্পদ নেই, যে পরিবারের প্রধান স্বামী পরিত্যক্তা, যে পরিবারের প্রধান অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, যে পরিবারের প্রধান অস্বচ্ছল ও অক্ষম প্রতিবন্ধী, যে পরিবার কোনও ক্ষু্দ্র ঋণ পায়নি, যে পরিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে চরম খাদ্য বা অর্থ সংকটে পড়েছে এবং যে পরিবারের সদস্যরা বছরের অধিকাংশ সময় দু’বেলা খাবার পায় না।
উপজেলা পর্যায়ে ইউনিয়ন–পৌরসভা ভিজিএফ কমিটির প্রকাশ্য সভায় এই তালিকা প্রণীত এবং প্রত্যায়িত হতে হবে। তালিকা এমনভাবে করতে হবে যে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ না পায়।