চট্টগ্রামের ৪ জনসহ আরও ১০৮ শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ

তৃতীয় ধাপে আরও ১০৮ শহীদ বুদ্ধিজীবীর গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে চট্টগ্রামের ৪ জন ও কঙবাজার জেলার একজনের নাম রয়েছে। এ নিয়ে ৪৪৩ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করলো সরকার।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় উপসচিব হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ১০৮ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়নের জন্য গঠিত কমিটির সুপারিশের আলোকে শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংজ্ঞা অনুযায়ী এদের তালিকা প্রকাশ করা হলো। এদের মধ্যে শিক্ষক, রাজনীতিক, সমাজকর্মী, চিকিৎসক, আইনজীবী, লেখক, চাকরিজীবী, প্রকৌশলী, নাট্যকার, সাংবাদিক, সংগীত শিল্পী এবং সংস্কৃতিকর্মী রয়েছেন। এর আগে ৬ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী যাচাইবাছাই কমিটির সভায় নতুন করে ১০৮ জনের নাম শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। তালিকায় থাকা চট্টগ্রামের ৪ জনের মধ্যে রয়েছেন রাউজানের আবুরখিল এলাকার রসিক চন্দ্র বড়ুয়ার ছেলে শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ বাগ্মীশ্বর বড়ুয়া, রাউজানের আঁধারমানিক এলাকার গগণ চন্দ্র মহাজনের ছেলে রাজনীতিবিদ বাবু মতিলাল চৌধুরী, মীরসরাই উপজেলার পশ্চিম অলিনগর এলাকার মুন্সি জিন্নাত আলী ভূঁইয়ার ছেলে শিক্ষক মৌলভী জাফর আহম্মদ ভূঁইয়া, সীতাকুণ্ডের মধ্যম মহাদেবপুর এলাকার আবদুছ সাত্তারের ছেলে শিক্ষক হারুনআলরশিদ। এছাড়া কঙবাজার সদরের পোকাখালী এলাকার হাফেজ মোবারক আলীর ছেলে শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ ইলয়াস। প্রথম দফায় ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম গেজেট আকারে প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরপর ২০২২ সালের ২৯ মে দ্বিতীয় তালিকায় ১৪৩ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়নের জন্য ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর গবেষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে যাচাইবাছাই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি নির্ধারিত শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংজ্ঞা অনুযায়ী, যে সব সাহিত্যিক, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, চিত্রশিল্পী, শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি, ভাস্কর, সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী, রাজনীতিবিদ, সমাজসেবী, সংস্কৃতিসেবী, চলচ্চিত্র, নাটক সঙ্গীত ও শিল্পকলার অন্যান্য শাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যাদের বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী কিংবা তাদের সহযোগীদের হাতে শহীদ কিংবা চিরতরে নিখোঁজ হয়েছেন তারা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে বিবেচিত হবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইটের জিপের ধাক্কায় প্রাণ গেল সিএনজি যাত্রীর
পরবর্তী নিবন্ধশিল্পকলা একাডেমির আজ ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী