চট্টগ্রামের হত্যা মামলার পলাতক আসামি ময়মনসিংহে গ্রেফতার

| সোমবার , ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৭:০২ অপরাহ্ণ

আইয়ুব আলীর (৩৬) আর মোঃ সাহেদ আলম প্রঃ সাহেদ মিয়া (৩৭)। তারা পরস্পর আত্মীয়। একই বাড়ির বাসিন্দা আলমগী ও সাহেদ। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল।

বিরোধের জের গত ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে কয়েক ধাপে ঝগড়া হয়। সর্বশেষে রাত ৮ টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন কামরাবাদ আতুরারডিপো মুন্সেফ আলীর বাড়ী প্রঃ নজির ড্রাইভারের বাড়ীস্থ মোঃ আইয়ুব আলীর টিনশেড দোকানের ভিতর ঢুকে আইয়ুব আলী নামে একজনকে কিল, ঘুষি মারে। হাতে থাকা চাকু দিয়ে পেটে ও বুকের বাম পাশে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং আইয়ুব আলীর মরদেহ দোকানের ভিতরে রেখে বাহির হতে দরজা তালাবন্ধ করে বাড়ির পিছন দিয়ে তার দলবল নিয়ে পালিয়ে যায় সাহেদ মিয়া।

ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান মোঃ সাহেদ আলম প্রঃ সাহেদ মিয়া।

তাকে গ্রেফতার করতে কাজ শুরু করে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ। বারংবার সম্ভাব্য সকল স্থানে অভিযান পরিচালানা করেও আসামী সাহেদ মিয়া অত্যন্ত চালাক ও চতুর হওয়ায় গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছিল না।

পরবর্তীতে বিশ্বস্ত গুপ্তচর ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ময়মনসিংহ জেলাধীন মুক্তাগাছা থানা এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে সাহেদ এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৮ জানুয়ারি মুক্তাগাছা থানাধীন মহারাজা রোডস্থ স্বর্ণপট্টি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতার হওয়া মোঃ সাহেদ আলম প্রঃ সাহেদ মিয়া, চট্টগ্রাম জেলার বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আতুরারডিপো কামরাবাদ এলাকার নজির ড্রাইভার বাড়ীর মোঃ আনোয়ার ছেলে।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ‍ওসি সনজয় কুমার সিনহা বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামী অত্যন্ত চালাক ও চতুর। আসামী পুলিশি গ্রেফতার এড়ানোর জন্য ঢাকা ও ময়মনসিংহ জেলায় বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন ছিল। পরে আমরা বিশস্থ গুপ্তচর ও তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগাঁজা মোস্তফাকে কুমিল্লা থেকে ধরল ডবলমুরিং থানা পুলিশ
পরবর্তী নিবন্ধস্ত্রীর সাথে কলহ, রুমে ঢুকে গলায় ফাঁস দিল হাটহাজারীর প্রবাস ফেরত যুবক