চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন জাপানী রাষ্ট্রদূতসহ শুভেচ্ছা সফরে আসা জাপান মেরিটাইম সেলফ ডিফেন্স ফোর্সেস ক্রুজশীপের প্রতিনিধি দল। গতকাল রোববার বিকেলে টাইগারপাসে অবস্থিত চসিক অস্থায়ী নগর ভবনে সাক্ষাৎকালে মেয়র বলেন, জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার। বাংলাদেশের বাণিজ্যখাত ও নানামুখী উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা এবং অংশগ্রহণ বিশ্ব দরবারে দেশের অবস্থানকে আরো সমুন্নত করবে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকা হিসেবে প্রাকৃতিক দূর্যোগের আশংকা রয়েছে। নগরীতে জলাবদ্ধতা সমস্যা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন, এলইডি সংযোগ, সবুজায়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন, পর্যটন শিল্প, পাওয়ার প্লান্টসহ নানাখাতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। মেয়র বলেন, জাপান জাইকার মাধ্যমে নগরীতে অবকাঠামো, যোগাযোগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে যা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তিনি সরকারের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের নানাদিক তুলে ধরে বলেন, চট্টগ্রাম অর্থনীতির হৃদপিন্ড ও বিনিয়োগের উত্তম স্থান। মেয়র চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেন।
জাপানী রাস্ট্রদূত ইতো নাওকি মহেশখালিতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে জাপান সরকারের ৬০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, নগরীতে মেট্রোরেল স্থাপন, ঢাকা-চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার মাতারবাড়ি পর্যন্ত স্থল ও নৌ পথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে জাপান আগ্রহী। রাষ্ট্রদূত চসিকে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইন্সিনেটর স্থাপনে যেরকম সহযোগিতা করেছে অনুরূপ বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
এ সময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেমসহ জাপানী ক্রুজ শীপের ক্যাপ্টেনগণ উপস্থিত ছিলেন। মেয়র জাপানী প্রতিনিধি দলকে চসিকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী প্রদান করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।