ভোটারদের মাঝে উন্নত মানের জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। দেশে স্মার্ট কার্ড বিতরণের নয় বছর চলছে। এখনো চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও মীরসরাই উপজেলার ভোটাররা তাদের স্মার্ট কার্ড পাননি। এই চার উপজেলায় প্রায় ১১ লাখ ভোটার রয়েছেন বলে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই চার উপজেলার মধ্যে বাঁশখালীতে সাড়ে ৩ লাখ, মীরসরাইয়ে সাড়ে ৩ লাখ, চন্দনাইশে ৩ লাখ এবং কর্ণফুলীতে ১ লাখ ভোটারের স্মার্ট কার্ড বর্তমানে প্রিন্টিং পর্যায়ে রয়েছে। ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর দেশব্যাপী স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে নির্বাচন কমিশন। সেই হিসাবে আট বছর চার মাস পেরিয়ে গেছে। স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম যখন শুরু হয়েছিল তখন চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪১ ওয়ার্ডের ২০ লাখ ভোটারের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছিল। মহানগরীর প্রায় ভোটার তাদের স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন। একইভাবে জেলার ১৫ উপজেলার মধ্যে আনোয়ারা, পটিয়া, বোয়ালখালী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়ি উপজেলার ভোটারদের মাঝেও স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলার অবিতরণকৃত অনেক স্মার্ট কার্ড জেলা নির্বাচন অফিস এবং থানা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসগুলোতে পড়ে আছে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন অফিসের এক কর্মকর্তা। ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, এ পর্যন্ত মোট স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হয়েছে ৮ কোটি ৮৬ লাখ ৯২ হাজার ২৬৮টি। বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৪৯টি কার্ড। বিতরণের অপেক্ষায় আছে ১ কোটি ৯৫ লাখ ৪২ হাজার ৯১৯টি কার্ড।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। অর্থাৎ ৫ কোটি ২৭ লাখ ৮১১ জন এখনো এই কার্ডের জন্য অপেক্ষা করছেন।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার ১৫ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৬৫ লাখ ৭৬ হাজার ৯২৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৩ জন এবং মহিলা ভোটার ৩১ লাখ ১৩ হাজার ২৮১ জন।