চট্টগ্রামের বিভিন্ন ঐতিহ্যসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো আসকার দিঘি যা নগরীর জামালখান এলাকায় অবস্থিত। প্রায় তিনশত পঞ্চাশ বছর আগে খনন করা হয় চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এই দিঘি। মোগল আমলে নবাব আস্কর খাঁর উদ্যোগে এই দিঘি খনন করা হয়েছিল তার সৈন্য সামন্তের পানির চাহিদা পূরণের জন্য। কিন্তু বর্তমানে আসকার দিঘিকে আর দিঘির মতো মনে হয় না। চারদিকে কচুরিপানায় পরিপূর্ণ দিঘিতে পানির পরিমাণ খুবই কম। এমনকি ময়লা আবর্জনা ফেলতে ফেলতে দিঘির আয়তন দিনদিন ছোট হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে দিঘির সীমানা খুঁজে বের করাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। এমতাবস্থায় চট্টগ্রামের ঐতিহ্য হিসেবে এই দিঘিকে রক্ষা বা সংস্কার করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য যে, বিগত কয়েক বছর আগেও বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন আসকার দিঘি রক্ষার দাবি জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। মূলত কচুরিপানা, ময়লা-আবর্জনা ইত্যাদি পরিষ্কার করার মাধ্যমে দিঘিটি পুনঃখনন করে দিঘির সংস্কার করা যায়। তদুপরি চট্টগ্রামে জলাধারের সংখ্যা খুবই নগন্য যেগুলো আছে তাও দখল দূষণে বিপর্যস্ত, এছাড়া এলাকায় আগুন লাগলে পানির বড় যোগান এ দিঘি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়ে দিঘির সংস্কার কাজ করলে খুব সহজেই ঐতিহ্যবাহী এই দিঘিটি রক্ষা করা যাবে। নতুবা কচুরিপানাসহ ময়লা আবর্জনার স্তূপ হতে হতে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে নগরীর ঐতিহ্যবাহী এই আসকার দিঘিটি।
টিপলু বড়ুয়া, সরকারি সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, চট্টগ্রাম।