নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামকে পর্যটনের শহরে পরিণত করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম পর্যটন নির্ভর একটি বিভাগ। এখানে সি-বিচ আছে, ফয়’স লেক, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং রাঙামাটি আছে। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজে পর্যটন নগরী গড়ে তোলা সম্ভব।
তিনি গতকাল সোমবার নগরীর ৮ নম্বর শুলকবহর ও ৪২ নম্বর নাসিরাবাদ সাংগঠনিক ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দস তালুকদার দুলুসহ নেতৃবৃন্দ নিয়ে নগরীর কাতালগঞ্জ মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু করেন তিনি। পরে শেখ বাহারউল্লাহ মসজিদ, বড় গ্যারেজ, বাদুরতলা, বহদ্দারহাট মোড়, শোলকবহর মাদ্রাসা রোড়, মির্জাপুল, জলিল বিল্ডিং, ফরেস্ট গেইট, মুরাদপুর মোড়, বশর মার্কেট, পিলখানা গলি হয়ে বন গবেষণাগার মাঠে গিয়ে শেষ করেন। নাসিরাবাদ সাংগঠনিক ওয়ার্ডের গণসংযোগ ২ নম্বর গেইট বিপ্লব উদ্যানের মোড় থেকে শুরু করে নাসিরাবাদ পূর্বকোণ অফিস, লডর্স ইন হোটেলের পাশের সড়ক হয়ে নাসিরাবাদ সরকারি বালিকা বিদ্যালয় রোড়, আল-ফালাহ গলি, ২ নম্বর গেইট রেলক্রসিং, মেয়র গলি, বেবী সুপার মার্কেট হয়ে রুবি গেইট মোড়ে গিয়ে পথসভায় মিলিত হন। ডা. শাহাদাত বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে চট্টগ্রামের মানুষের জন্য রাজনীতি করছি। মানুষের সুখ-দুঃখ বুঝি। করোনাকালে মানুষের পাশে থেকেছি, এখনও সাহায্য সহায়তা করে যাচ্ছি। ফ্রি ট্রিটমেন্ট দিচ্ছি। তাই চট্টগ্রামের মানুষ আমাকে পছন্দ করে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম পর্যটন নগরী হলে দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পাবে। উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছতে চট্টগ্রামকে বাদ দিয়ে কল্পনাও করা যায় না।
রুহুল কুদ্দস তালুকদার দুলু বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি একজন ভালো মানুষকে মনোনয়ন দিয়েছে। ডা. শাহাদাত হোসেন ক্লিন ইমেজের নেতা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান তাকে যোগ্য নেতা হিসেবে চট্টগ্রামবাসীকে সেবা করার জন্য মেয়র হিসেবে প্রার্থী দিয়েছেন। তিনি এই করোনা দুর্যোগে সবসময় আপনাদের পাশে ছিল। আপনারা তাকে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করুন।
পথসভায় অংশ নেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চাকসুর সাবেক ভিপি নাজিম উদ্দীন, বিএনপি নেতা এস কে খোদা তোতন, কাজী বেলাল উদ্দীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, হারুন জামান, আশরাফ চৌধুরী, মো. কামরুল ইসলাম, এম এ হালিম, জসিম উদ্দীন সিকদার, মো. সেকান্দর চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, কাজী শামসুল আলম, হাসান চৌধুরী উসমান, জিন্নাতুন নেছা জিনু, শায়েস্তা উল্লাহ চৌধুরী, মো. হাসান, আবদুল হাই, মোজাম্মেল হক হাসান, শাহিদুর রহমান বেলাল, তারেক রশিদ, শাহ আলম চৌধুরী, জাকির হোসেন, অঙ্গসংগঠনের নেতা তোফাজ্জল হোসেন, মো. মূসা, ইকবাল পারভেজ, মো. আলী সাকি, জিয়াউর রহমান জিয়া, আলী মর্তুজা খান, জমির উদ্দীন নাহিদ, শেখ রাসেল, দিদারুল আলম, মো. মোতালেব, শাহিন উমরান রমজান, নাজিম উদ্দীন, মো. হাসান, আলী আকবর, মো. আফসার, মহসিন কবির আপেল, আলিফ উদ্দীন রুবেল, সালাউদ্দীন সাহেদ, সামিয়াত আমিন জিসান, জনি, ইকবাল জিসান, মো. জুয়েল প্রমুখ।