ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে একটি শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনীর। এসব হামলায় ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২১ জনই নারী। হামলায় আরও ৮০ জন আহত হয়েছেন। গত ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় গাজার উত্তরে জাবালিয়ার শরণার্থী শিবিরে হামলা চালানো হয়। গতকাল শনিবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। নিহতের সংখ্যা ৫০ জনের বেশি বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। খবর বাংলানিউজের।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবারের হামলায় জাবালিয়ার বেশ কয়েকটি বাড়িঘর গুড়িয়ে যায়। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন আহতদের অনেকে। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। একদিনে এত নারীর মৃত্যুর ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি দখলদার ইসরায়েল। গত দুই সপ্তাহ ধরেই জাবালিয়ায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত শুক্রবারের হামলার বিষয়ে আল–আওদা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মোহাম্মাদ সালহা আল জাজিরাকে বলেছেন, জাবালিয়ায় সর্বশেষ মারাত্মক হামলায় আহত প্রায় ৭০ জন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। ওই সময় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে তারা। একই সঙ্গে প্রায় ২৫০ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে আসে।
হামাসের এই হামলার প্রতিশোধ নিতে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। যা এখনও অব্যাহত। গত এক বছর ধরে চলা ইসরায়েলি স্থল অভিযান ও বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও এক লাখেরও বেশি মানুষ। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।