গর্জনিয়ায় অপহৃত তরুণীর মৃত্যু

পরিবারের দাবি হত্যা

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি | রবিবার , ৪ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের শাহ মোহাম্মদ পাড়া থেকে অপহৃত তরুণী সুমি আক্তার সুমি অবশেষে মারা গেছে। গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চেয়ারম্যান নজরুলের মধ্যস্থতায় অপহরণকারী মোহাম্মদ নবীর বাড়ি থেকে বের করে গাড়িতে তোলার পরপরই সুমি ঢলে পড়ে স্বজনদের কোলে। পরে তাকে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালের নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন। সুমির মা খালেদা বেগম ও চাচা ছৈয়দ আলম আজাদীকে জানান, সুমিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে তার কাছে থাকা সম্পত্তি ও টাকার লোভে।
সূত্র জানান, গত শুক্রবার গহীন রাতে সুমি আক্তার সুমিকে কৌশলে অপহরণ করে হাইস্কুল মুরায় নিয়ে যায় গজর্নিয়ার মোটরবাইক ড্রাইভার মোহাম্মদ নবী নামের এক প্রতারক। নবীর বাড়িতে বর্তমানে ১ স্ত্রী ও ২ কন্যা শিশু রয়েছে। এই স্ত্রীর পূর্বে তার আরো এক স্ত্রী ছিলো। তার নাম তাহমিনা। তাকে পরকিয়ার জের ধরে তালাক দেয় মোহাম্মদ নবী। সুমির পিতা ফারুখ আহমদ আজাদীকে জানান, শুক্রবার রাতে সুমি প্রতিদিনকার ন্যায় তার ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোরে মেয়েকে রুমে দেখতে না পেয়ে তারা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নেন। পরের দিন বিকেলে খোঁজ পান সুমিকে বেঁধে রেখেছে অপহরণকারী মোহাম্মদ নবী। সুমির পরিবার প্রথমে চেয়ারম্যান নজরুল পরে চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুলকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মোহাম্মদ নবীর কাছে থেকে মেয়েকে উদ্ধার করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সুমিকে মোহাম্মদ নবীর বাড়ী থেকে নিয়ে আসার পথে সুমি মারা যায়। গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি ফরহাদ আলী আজাদীকে বলেন, সুমির লাশ কঙবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সুমি আক্তার কেন, কীভাবে মারা গেছে তা জানা যাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিজিএমইএ নির্বাচন আজ
পরবর্তী নিবন্ধপ্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে পরিবারের সাথে ঝগড়া কিশোরীর আত্মহত্যা