খো খো আমাদের দেশে তেমন পরিচিত খেলা নয়। এটি মূলত ভারতেরই একটি খেলা। তবে বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে এই খেলাটি পরিচিতি পাচ্ছে। এখন চট্টগ্রামেও চর্চা হচ্ছে খেলাটি। গত কয় বছর ধরে চট্টগ্রামে এই খো খো র লিগও হচ্ছে। তবে খো খো এখনো ততটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি। চট্টগ্রাম জেলা দল এরই মধ্যে জাতীয় পর্যায়েও সাফল্য পেয়েছে চট্টগ্রাম । কিন্তু চট্টগ্রামে এখনো খো খো খেলার মত পর্যপ্ত খেলোয়াড় সৃষ্টি হয়নি। যদিও কয়েকটি উপজেলার একাধিক স্কুলে এখন খো খো র প্রশিক্ষণ হচ্ছে নিয়মিত। তবে তারা কবে নাগাদ খেলার উপযুক্ত হবে তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। তবে সম্প্রতি চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার যে বিভিন্ন সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে সেখানে সেখানে এই খো খো র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার জসিম এবং সরওয়ার আলম চৌধুরী মনিকে। কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নির্বাহি কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার জসিম উদ্দিনকে। তিনি গত মেয়াদে খো খো কমিটির সম্পাদক ছিলেন। আর এবারে সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সরওয়ার আলম চৌধুরী মনিকে। এই জুটি চাইছে আগে খো খা টাকে চট্টগ্রামে পরিচিত করতে। যেহেতু খেলাটি খুব বেশি পরিচিত না সেহেতু এটি সম্পর্কে আগে মানুষের মধ্যে ধারণা সৃষ্টি করা দরকার বলে মনে করছেন তারা। কমিটির চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন আমরা গত কয় বছর ধরে এই খেলাটি আয়োজন করছি চট্টগ্রামে। জাতীয় পর্যায়েও আমরা প্রতিনিধিত্ব করছি। কিন্তু আমাদের পর্যাপ্ত খেলোয়াড় এখনো সৃষ্টি হয়নি। তবে পাহাড়ি অঞ্চলে বেশ কিছুু খেলোয়াড় রয়েছে। আমরা তাদেরকে নিয়ে এসে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। কমিটির সভাপতি জানান আমরা আসলে শৃংখলার মধ্যে এই খেলাটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। যেকোন ইভেন্টে প্রথমে সবচাইতে যে জিনিসটি ফিরিয়ে আনা দরকার তা হচ্ছে শৃঙ্খলা। এখন অনেক দল খো কো লিগ খেলার জন্য নাম নিবন্ধন করেছে। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেরই খেলাটি সম্পর্কে ধারণা নাই। তাই আমরা চাইছি খেলাটি জনপ্রিয় হোক চট্টগ্রামে। কমিটির সম্পাদক সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি বলেন আসলে আমাদের উপর যেহেতু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাই আমরা চেষ্টা করব এই খেলাটিকে কীভাবে জনপ্রিয় করা যায়। সবার আগে আমরা চাই শৃংখলা ফেরাতে। যেনতেন কিছু আমরা করতে চাইনা। বিশেষ করে চট্টগ্রামে ছোটখাঠ ইভেন্টগুলো নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। সকালে শুরু করে বিকেলে শেষ হয় এসব ইভেন্টের লিগ। একই জার্সি নিয়ে খেলে একাধিক দল। এরকম নানা অভিযোগ আমরা ইতোমধ্যে পেয়েছি। তবে আমরা সে সব থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমরা চাই একটি সুন্দর পরিবেশে এই খেলাটি হবে চট্টগ্রামে। আমরা চাইব যেটাই করি সেটা হবে পরিচ্ছন্ন এবং সুন্দর আয়োজনের মাধ্যমে। তবে সবার আগে খেলাটির গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের মানুষকে বুঝাতে হবে। আমরা ক্লাব গুলোকে নতুন একটি সংস্কৃতিতে ফিরিয়ে আনতে চাই। সবকিছু একটা সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসা গেলে সেটা সব ক্লাবের জন্যই লাভ। কমিটির সভাপতি এবং সম্পাদক দুজনই মেয়েদের খো খো আয়োজন করতে চান। তবে তাদের মূল লক্ষ্য আগে খেলোয়াড় সৃষ্টি করা। কারণ পর্যাপ্ত খেলোয়াড় না থাকলে লিগ বা টুর্নামেন্ট কোনটিই যথাযথভাবে আয়োজন করা সম্ভব নয়। তাই আগে খেলোয়াড় সৃষ্টির জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে চান জসিম–মনি জুটি। এই কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে নুরুল আবছার, মুজিবুর রহমান, মোস্তফা বদিউল খায়ের লিটন, কাজি মনসুর উদ্দিন এবং আলাউদ্দিন বেদনকে। যুগ্ম সম্পাদক করা হয়েছে আলি হাসান রাজু, হারুন অর রশিদ এবং লুৎফুল করিম সোহেলকে। সদস্য হিসেবে রয়েছেন লোকমান হাকিম মোঃ ইব্রাহিম, জিয়াউদ্দিন আহমেদ তানভীর, রিফাত বিন আমিন, কল্লোল দাশ, মোশারফ হোসেন লিটন, শাহজালাল উদ্দিন, গুলশান আরা, নুরুল করিম এবং সাইফুল্যাহ মুনিরকে।