জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরের বিভিন্ন খালে থাকা মাটি দ্রুত অপসারণ করতে হবে সিডিএকে। এক্ষেত্রে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে সংস্থাটিকে। সমন্বয় হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব। চট্টগ্রাম ও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেও চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতাজনিত দুর্ভোগ না কমায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
সভায় উপস্থিত সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বিষয়টি আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার বিষয়টি আমি তুলে ধরেছি। জানিয়েছি, সিডিএ মেগা প্রকল্পের জন্য খালে বাঁধ দিয়েছে। বাঁধগুলো অপসারণ করতে দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি। এখন বাঁধ কেটেছে। কিন্তু মাটি তো তুলেনি। মাটি না তুললে পানি যাবে কীভাবে?
তিনি বলেন, আমার নিজের বাসায়ও পানি উঠেছে। শহরের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। রান্না করতে পারছে না। পানি তো নামছেই না। আগে পানি উঠলে ঘণ্টা, দেড় ঘণ্টা পর নেমে যেত। এখন তো নামছে না। খালে মাটি থাকলে নামবে কীভাবে?
সভায় মন্ত্রী কী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন জানতে চাইলে মেয়র বলেন, গণপূর্ত সচিবকে বলেছেন, মাটি কীভাবে তুলবে তা সিডিএকে ডেকে ঠিক করতে হবে। মেয়রের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। মেয়র যেহেতু জনপ্রতিনিধি, তাই তিনি জনগণের দুর্ভোগ কমানো নিয়ে ভাবছেন। কাজেই মেয়রের কথা শুনতে হবে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
মেয়র নগরে পাহাড় ধসের বিষয়টিও সভায় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পাহাড় ধস ঠেকাতে সব সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে। পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে। পাহাড়ের মাটি এসে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। কাজেই পাহাড় কাটা বন্ধ না হলে জলাবদ্ধতাও কমবে না।
সভায় ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও গণপূর্ত বিভাগের সচিব, ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি, ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।