বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর আবেদন বিবেচনা করতে উপমহাদেশের কোনো আদালতে এমন নজির আছে কি না তা দেখে কিছুদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানাবেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল বুধবার বিকেলে গুলশানের বাসায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান চিকিৎসকরা। দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত আছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশ নিতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে বিদেশে যেতে হলে কারাগারে ফিরে আবেদন করতে হবে। খবর বিডিনিউজের।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমি যে বক্তব্য দিয়েছি যে, ৪০১ ধারায় যে দরখাস্ত একবার নিষ্পত্তি হয়ে গেছে সেই দরখাস্তটি পুনরুজ্জীবিত করার কোনো স্কোপ নাই। আমি সেই আইনি যে ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম সেই আইনি ব্যাখ্যাই সঠিক। কিন্তু তারপরেও আমি বলেছি যে, ১৫ জন আইনজীবী আমার সাথে দেখা করেছেন। তারা একটা বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের এই বক্তব্য কোনো দেশে কোনো সময় বিশেষ করে আমাদের উপমহাদেশের কোনো আদালতে নজির আছে কি না আমি সেটা খতিয়ে দেখছি। আমার দেখা এখনো শেষ হয়নি। প্রায় শেষ প্রান্তে এসেছি। আপনারা কিছুদিনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত পেয়ে যাবেন।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে স্মারকলিপি দেন বিএনপিপন্থি ১৫ জন আইনজীবী। এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় চেয়ে আইনমন্ত্রী তখন জানিয়েছেন, স্মারকলিপিটি অবশ্যই পর্যালোচনা করা হবে। তবে সিদ্ধান্ত ও মতামতের বিষয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে।
পরবর্তীতে গত রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, আইনের কোনো ব্যত্যয় না ঘটিয়ে কোনো উপায় আছে কি না সে বিষয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্তে আসতে একটু সময় নেওয়া হয়েছে।