অধিনায়কত্ব ছাড়ার এক ম্যাচ পরই একাদশেও জায়গা হারান মোমিনুল হক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দলে ছিলেন না তিনি। এরপর বলা হয়েছিল ‘এ’ দলের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজে পাঠানো হবে মোমিনুলকে। কিন্তু শেষ অবধি হয়নি সেটিও। অনেকের ধারণা ছিল এ দলেও বোধ হয় বিবেচনা করা হয়নি মোমিনুলকে। দুইটি চার দিনের ও তিনটি এক দিনের ম্যাচ খেলতে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলের নির্বাচক ও এই সফরের ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন পুরোপুরি বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে মোমিনুলকে। তিনি বলেন মোমিনুল আসলে অল্প সময়ের জন্য অফফর্মে আছে। ওকে এখানে বিবেচনা আনা না আনার প্রশ্নই আসে না। আমি মনে করি ওকে পুরোপুরি বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। টেস্ট ক্রিকেট এমনিতেই কঠিন। তার উপর একেতো মোমিনুলের বাজে সময় যাচ্ছিল আবার সে অধিনায়কও। মাঝে মাঝে মানুষের ছোট বিরতি দরকার হয়।
এটা মানসিক রিফ্রেশ এবং ফিজিক্যালি ফিট থাকার জন্য। যাতে পারফরম্যান্স ভালো করে আবার ফিরে আসতে পারে। মোমিনুলকে যে ‘এ’ দলের জন্য বিবেচনা করা হয়নি তা কিন্তু না। তাকে বিশ্রামই দেওয়া হয়েছে। মোমিনুলের এমন কোন বয়স হয়ে যায়নি যে আর ফিরতে পারবে না। এটা একদমই বিশ্রাম। মোমিনুলের প্রসঙ্গ আসতেই চলে আসেন মাহমুদউল্লাহ প্রসঙ্গ। জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে নেই গত সিরিজের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। ভবিষ্যতে থাকবেন এমন নিশ্চয়তাও মেলেনি। তাহলে কি মাহমুদউল্লাহকেও মোমিনুলের মতোই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে? রাজ্জাক বলেন জিম্বাবুয়ে সিরিজে সাকিবও নাই। বলতে গেলে সিনিয়ররা কেউ নাই। বিশ্রামের ব্যাপারটা এরকম। অবশ্য এটা ঠিক যে, আমরা টি-টোয়েন্টিতে খুব ভাল খেলছি কতা কিন্তু না। আমাদের জন্য তুলনামুলক সহজ সিরিজ জিম্বাবুয়ে। একটা নতুন ক্রিকেটারকে তো আমরা অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজে নামিয়ে দিতে পারব না। এজন্য এখানে সুযোগ নেয়া হয়েছে।
