নজরুলের মানবতার সুর ও স্বর শিল্পীদের ধারণ করতে হবে। কারণ নজরুলের সৃষ্টিতে মানবপ্রীতি এবং মানুষের মেল–বন্ধনের কথা বারবার ধ্বনিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকালে এই কথামালা দিয়ে শুরু হয় ক্বণন শুদ্ধতম আবৃত্তি অঙ্গন আয়োজিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ‘আজ কেবলি নজরুল’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। ক্বণন সভাপতি আবৃত্তি শিল্পী মোসতাক খন্দকারের সভাপতিত্বে চেরাগি পাহাড়স্থ আজাদী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে বক্তব্য রাখেন আবৃত্তি শিল্পী শরীফ মাহমুদ ও আবৃত্তি শিল্পী প্রেমা চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আবৃত্তি শিল্পী শুভ্রা চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নজরুল আমাদের অহংকার। সকল সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে তাকে মূল্যায়ন করতে হবে। নজরুলকে নিছক বিদ্রোহের কবি বলে সীমাবদ্ধ করা উচিত নয়। তিনি প্রেমেরও কবি, বিরহেরও কবি। নজরুলকে কেবল জাতীয় কবি হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার মধ্যে দায়িত্ব সীমাবদ্ধ না রেখে তার সমগ্র সৃজনশীলতাকে সংরক্ষণ ও প্রচার এবং নজরুল সাহিত্যের বাচিক রূপকে সমপ্রসারিত করার উপর বক্তারা গুরুত্বারোপ করেন।
জাতীয় কবিকে নিবেদিত কথামালা এবং নজরুলের রচনাসম্ভার থেকে আবৃত্তি নিয়ে আয়োজিত ‘আজ কেবলি নজরুল’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন শুভ্রা চক্রবর্তী, সুস্মিতা চৌধুরী, রাইয়ান রহমান, মনীষা দাশ, মহিউদ্দীন মারুফ, রুফাইদা, মেহজাবিন, সমৃদ্ধ, জারিফ, ফাবিহা. রেঁনেসা, নওশিন, নাবিলা, ফারিহা, হাফসা, আফরিন, দানীন, সামিহা, প্রেমা চৌধুরী ও শরীফ মাহমুদ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।