বিশ বৎসরের তম্বী যুবতী সারা ইসলাম রোগে অতিষ্ট হয়ে উপলব্ধি অনুভবে নিজের দুটি কিডনি ও দুটি চোখ দিয়ে অন্য মানবের উপকারে নিজেও বেঁচে থাকার অবিস্মরণীয় কর্মে জড়িত হয়ে অসাধারণ কাজটি করে সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন –মানবের জন্য মানব। যা সত্যিই বিস্ময়কর। নিজের কিডনী ও চোখ দান করে প্রমাণ করে গেলেন আমি চলে গেলেও অন্যের মারফত বেঁচে থাকা যায়। সাময়িক কষ্ট হলে ও অন্যের মাধ্যম বেঁচে থাকার উত্তেজনা ও আনন্দ অন্যরকম।
অবাক মনে হলেও সারা ইসলাম পথ দেখিয়ে দিলেন। প্রতিস্থাপনের পথ যখন হাতের মুঠোয়, তা অনুসরণে দেশ ও জাতিকে উপকৃত করা যায়। যা একটি অসাধারণ দৃষ্টান্ত। দীর্ঘদিন ভুগছিল মস্তিষ্কে টিউমার সহ নানা শারীরিক জটিলতা। তাই অসাড় দেহ নিয়ে উৎপীড়নের মুক্তি পেতে রেখে গেলেন নতুন তাৎপর্য।
মৃত্যুর আগে দেহের সবকিছুই দান করে দিলেন অন্য জীবিত মানুষের উপকারে। ইতিমধ্যে কিডনী দুটি প্রতিস্থাপনকরা হয় দুই মানব দেহে। চোখের কর্নিয়া প্রদান করা অসুস্থ দুই দৃষ্টিজনে। তাঁরাই আজ মন ভরে হাসছেন দেখছেন আলোর দ্বীপশিখায়। সারা দৃষ্টান্তে রেখে জনে জনে বলে দিচ্ছেন এসো আলোর পথে। মানবের প্রয়োজনে দানের এই সত্য শুদ্ধ পথ বড্ড মধুর। নিজেকে ভাবো, অন্যের উপকারের নিজেকে বিলিয়ে দাও। বাঙলার ষড়ঋতুকে আমোদে এনে মহিয়সী হও। প্রথম যাত্রায় নাম লিখিয়ে ইতিহাস হলেও যুগের পাতায় নাম লিখানো অসম্ভব কিছুই না। প্রথম কিডনী প্রতিস্থাপনে সারা ইসলাম দেশের গর্ব ও ইতিহাস।