সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকেই শুরু হয় কর্মজীবী নারীর দৌড়। প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখার জন্য চলে আপ্রাণ চেষ্টা। নারী বাইরে কাজ করবে, এটা নিয়ে পরিবারে চলে অসহযোগিতা। অসহযোগিতার ভয়ে পরিবারের সকল কাজ শেষ করে যেতে হয় কর্মস্থলে। কিন্তু পরিবারের সবার সহযোগিতায় কর্মজীবী নারী আরো এগিয়ে যেতে পারে, অংশগ্রহণ করতে পারে দেশের উন্নয়নমূলক কাজে। সব কাজ একজন না করে পরিবারের সবাই যদি ভাগাভাগি করে করতে পারে তবে নারী শারীরিক ও মানসিক ভাবে অনেক সুস্থ থাকে। তবে কর্মজীবী নারীদেরও একটু কৌশলে সাংসারিক কাজ শেষ করতে হবে। কারণ একজন নারীকে পরিবারের সদস্যদের কথা চিন্তা করতে হয় আবার কাজের কথাও। তাই কর্মজীবী নারীকে কাজের ব্যাপারে পরিবারকে জানাতে হবে। সন্তানদের গড়ে তুলতে হবে আত্মনির্ভরশীলভাবে। নিজের কাজ নিজে করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ঘরের কাজ পরিবারের সকল সদস্যদের মধ্যে বণ্টন করে দিতে হবে।
সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন পরিবার প্রধানের সহযোগিতা, সহমর্মিতা, এবং সহিষ্ণুতা। পরিবার প্রধানের এই তিন গুণাবলি থাকলে নারীরা ঘরে বাইরে সবখানে কাজ করতে পারে নির্দ্বিধায়। বর্তমান সরকারের এসডিজিতে স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন নারীর ক্ষমতায়নের ব্যাপারে। যাতে প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টে নারীর পদার্পণ থাকে। তাই জল, স্থল মহাশূন্য সবখানে ভ্রমণ করলে দেখা যাবে সবক্ষেত্রেই নারীদের পদার্পণ। আর যারা এরকম সফলতার শীর্ষে পৌঁছেছেন তাদের পিছনের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় প্রত্যেকের পেছনে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছে পরিবার প্রধান।
অনেকে হয়তো ভাববে নারীরা কিছু পারে না কারো সহযোগিতা ছাড়া। আসলে প্রত্যেক নারী পুরুষ একে অপরকে ছাড়া চলতে পারে না। সেই যুদ্ধ পরিচালনা থেকে শুরু করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন পর্যন্ত কোথাও নারীর সহযোগিতা ছাড়া কোনো কাজ সম্ভব হয় নি। বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাদার অফ হিউমিনিটি, জননেত্রী শেখ হাসিনা হলেন তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কর্মজীবী নারীরা যেমন ঘরে বাইরে কাজ করে তাদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নারীর মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি দৃষ্টি দেয়া বেশি জরুরি।