হাটহাজারী উপজেলায় মহামারী করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের ২য় সপ্তাহের প্রথমদিনে এ উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭৮ জন। জনসচেতনতার অভাবই আক্রান্তের হার বৃদ্ধির কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারিভাবে কঠোর লকডাউন ঘোষণার পর থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন কার্যকর করার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। কিন্তু এলাকার লোকজন এ ব্যাপারে উদাসীন বলে মন্তব্য করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসাইন হাটহাজারীতে গত আট দিনে নমুনা পরীক্ষা করে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৭৮ জন বলে জানান। তাছাড়া করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা সেবার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০টি বেড নির্ধারণ করে রাখা হলে সেখানে নির্ধারিত বেডের অতিরিক্ত রোগী স্বজনদের অনুরোধে ভর্তি রাখা হয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে মাঠে দায়িত্বরত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রহুল আমিন ও সহকারী কমিশন (ভূমি) শরীফ উল্লাহ জানান, সরকার ঘোষিত লকডাউন কার্যকর করতে সারা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করার সময় রাস্তা ঘাটে বের না হওয়ার জন্য লোকজনকে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তবুও মানুষকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না। কোন না কোন অজুহাত নিয়ে লোকজন রাস্তায় বের হচ্ছে। খেটে খাওয়া মানুষগুলো পেটের দায়ে বের হলেও প্রয়োজন ছাড়া ও অনেকে ঘর থেকে অযথা বের হয়ে ঘোরাঘুরি করছে। তবে রাস্তায় যাদের পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে যারা উপযুক্ত কারণ দেখাতে পেরেছে, তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকীদের সরকার ঘোষিত লকডাউন অমান্য করার দায়ে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।