মশক নিধনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ক্রাশ প্রোগ্রাম অব্যাহত আছে। চলমান কর্মসূচির আওতায় গতকাল নগরের আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের রাজা পুকুর লেন হতে নজির আহমেদ চৌধুরী রোড, কে সি দে রোড, লালদীঘি ও কোতোয়ালী মোড় এবং আলকরণ ওয়ার্ডে রেয়াজউদ্দিন বাজার হতে তিন পুলের মাথা পর্যন্ত অলি গলিতে ছোট-বড় নালা ও বাড়ির আঙ্গিনায় পরিচ্ছন্নতার পাশাপশি কীটনাশক ছিটানো হয়েছে।
চলমান কর্মসূচি উপলক্ষে মেয়র বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই মশক নিধন কাজকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। কারণ এ সময়ে জমাট ও পরিচ্ছন্ন পানিতে এডিস মশার প্রজনন বিস্তার ঘটে এবং এ মশা থেকে ডেঙ্গু রোগ ছড়ায়।
তিনি বলেন, লকডাউনের মধ্যেও সিটি কর্পোরেশনের জরুরি কাজগুলো থেমে নেই। কাজগুলো পড়ে থাকলে করোনাকালে যে মানবিক বিপর্যয় ঘটতে যাচ্ছে তার থেকে পুনরুদ্ধার পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় যেখানে পানি জমে থাকে সেগুলো অপসারণ করতে হবে। ফুলের টব, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোল, ফ্রিজ ও এয়ার কন্ডিশনারের ট্রের পানি দুয়েকদিন অন্তর সরিয়ে ফেলতে হবে।
মেয়র করোনা আক্রান্তদের চসিকের আইসোলেশন সেন্টার থেকে সেবা গ্রহণের জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি হওয়া রোগীদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, অঙিজেন সাপোর্টসহ অন্যান্য সেবা কার্যক্রম চালু আছে।
ক্রাশ প্রোগ্রামে অংশ নেন অতিরিক্ত পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী ও পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব শর্মা।