মাহফুজুর রহমান লোকোমাস্টার। রুখন মিয়া সহকারী লোকোমাস্টার। গত দশ বছর ধরে চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে যাত্রীবাহী এবং মালবাহী ট্রেন চালিয়েছেন। কিন্তু গতকালের ট্রেনযাত্রা নতুন মাত্রা যোগ করেছে তাদের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারে। শতবর্ষী কালুরঘাট সেতু গত শনিবার সংস্কার শেষে গতকাল সকালে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেনের হুইসেল বাজিয়েছেন পর্যটন নগরী কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে।
সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে নির্বিঘ্নে কক্সবাজারের দৃষ্টিনন্দন আইকনিক স্টেশন বিল্ডিংয়ের সামনে ট্রেন পৌঁছে দিয়ে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইলেন তারা। কিছুদিন আগে উদ্বোধন হওয়া আখাউড়া আগরতলা রেলপথেও ট্রেন নিয়ে গেছেন লোকোমাস্টার মাহফুজ রহমান।
গতকাল সকাল ৯টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে পর্যটন নগরীর পথে ছুটে প্রথম ট্রেন। ময়মনসিংহের সন্তান মাহফুজুরের বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। তিনি রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত আছেন এক যুগের বেশি সময় ধরে। তবে লোকোমাস্টার হিসেবে ট্রেন চালাচ্ছেন ২০১৪ সাল থেকে। এর আগে সহকারী লোকোমাস্টার ও সাব লোকোমাস্টার ছিলেন। কিছুদিন আগে আখাউড়া থেকে আগরতলায় যে ট্রেন গেছে সেটির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি।
মাহফুজুর রহমান বলেন, ট্রেন চালাতে গিয়ে ছোট–বড় অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। তবে এবার পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যাচ্ছি। এটিও আমার কাছে অনেক বড় অভিজ্ঞতার বিষয়, যা সারাজীবনের সঞ্চয় হয়ে থাকবে। এর আগে আখাউড়া–আগরতলা ট্রেন নিয়ে গেছি।
মাহফুজুর রহমানকে সহযোগিতা করছেন সহকারী লোকোমাস্টার রুখন মিয়া। ২০১৭ সালে রেলওয়েতে যোগ দেন তিনি। তারও রয়েছে অনেক অভিজ্ঞতার গল্প। তিনি আজাদীকে বলেন, বহু ট্রেনেই কাজ করেছি। তবে এবার এমন একটা গন্তব্যে যাচ্ছি, যেখানে সবাই বছরে একবার হলেও যেতে চান। আর সেই কক্সবাজারে প্রথম ট্রেন নিয়ে যাওয়ার পেছনে আমারও অবদান আছে–এটা আমার জন্য গর্বের।