ওমিক্রন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, বিশ্বকে প্রস্তুত থাকতে হবে : হু

আজাদী ডেস্ক | মঙ্গলবার , ৩০ নভেম্বর, ২০২১ at ৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ

করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ‘উচ্চ ঝুঁকি’ আছে এবং কিছু অঞ্চলে এটি ‘মারাত্মক পরিণতি’ ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। গতকাল সোমবার জাতিসংঘের এই স্বাস্থ্য সংস্থাটি এর ১৯৪ টি সদস্য দেশকে সংক্রমণের ঢেউ ঠেকাতে বিশেষ গ্রুপের মানুষদের মধ্যে টিকাদানের হার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা ঠিক রাখতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনার যথার্থতাও নিশ্চিত করতে বলেছে হু। কোভিড-এর এই নতুন রূপকে নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। একাধিক দেশ আন্তর্জাতিক বিমানে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন-সহ অনেক দেশ সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া শুরু করেছে।
নতুন ভ্যারিয়েন্টের স্পাইক প্রোটিনে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ বার অভিযোজন বা মিউটেশন হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এর মধ্যে কিছু মিউটেশন উদ্বেগজনক। কারণ, তা মহামারীর গতিপথও বদলে দিতে পারে। ডব্লিউএইচওর আশঙ্কা, নতুন এই ধরন বিশ্বের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের এই ধরনে কেউ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে নতুন ধরনটির বিরুদ্ধে প্রচলিত কোভিড টিকা কার্যকর কিনা তা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ডব্লিউএইচও বলছে, ওমিক্রনে সংক্রমণ এবং রোগের তীব্রতা বেড়ে গিয়ে তা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং অসুস্থতা ও মৃত্যু বাড়িয়ে দিতে পারে। অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর ওপর এর প্রভাব হবে গুরুতর, বিশেষ করে কম টিকা দেওয়া দেশগুলোতে। ডব্লিউএইচও তাদের সর্বশেষ নির্দেশিকায় বলেছে, ‘সব দেশের উচিত ঝুঁকির-ভিত্তিতে নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে সময়মতো আন্তর্জাতিক ভ্রমণ সংক্রান্ত সব পদক্ষেপ ঠিক করে নেওয়া। এ বিষয়ে পরে আরও পরামর্শ দেওয়া হবে।’
হুর মতে, যারা আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে, তারা আবারও ওমিক্রন আক্রান্ত হতে পারেন। এদিকে, সাউথ আফ্রিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ার ডাক্তার অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজে বলেছেন, ‘নতুন রূপের দ্বারা সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে অপরিচিত উপসর্গের দেখা পেয়েছি।’ প্রসঙ্গত, ডাক্তার কোয়েটজেই সেই ব্যক্তি, যিনি এই নয়া রূপের ব্যাপারে প্রথম দুনিয়াকে সতর্ক করেছিলেন। কোয়েটজের মতে, ওমিক্রন-এ সংক্রমিতদের মধ্যে চরম ক্লান্তির ভাব লক্ষ করা গিয়েছে। পাশাপাশি শরীরের পেশিতে হালকা ব্যথা, আচমকা গলা ভেঙে যাওয়া এবং শুকনো কাশির সমস্যার কথাও চিকিৎসকদের জানিয়েছিলেন রোগীরা। যদিও তার দাবি, প্রতিটি সংক্রমিত রোগীর ক্ষেত্রেই উপসর্গের মাত্রা ছিল মৃদু। হাসপাতালে ভর্তি না হয়েই প্রত্যেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ৫৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা আয়কর আদায়
পরবর্তী নিবন্ধওদের স্বপ্ন অনেক, সুযোগ কম