এ বছরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া অত্যন্ত জরুরি : খসরু

| সোমবার , ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

প্রয়োজনীয় সংস্কার করে চলতি বছরেই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করে বিএনপি। গতকাল রোববার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারে বৈঠকের পর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেছেন।

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ, সবার মনে প্রশ্ন আছে, সেই বিষয়গুলো বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে। একটি হচ্ছে নির্বাচন, কবে নির্বাচন হতে যাচ্ছে? আমাদের ভাবনা কী? সংস্কারের ব্যাপারে যে আলোচনা, সেই সংস্কারের ব্যাপারে আমাদের ভাবনা কী? মূলত নির্বাচনের রোডম্যাপএই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা যেটা বলে আসছি, এই বছরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। অন্য কোনো ভাবনার দিকে না গিয়ে সরাসরি জাতীয় নির্বাচনের দিকে গিয়ে দেশে আগামী দিনে একটা নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য। খবর বিডিনিউজের।

খসরু বলেন, অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি দেশ বেশিদিন চলতে পারে না। অগণতান্ত্রিক সরকারের রাজনৈতিক ওয়েট থাকে না, মোবিলাইজেশন প্রসেস থাকে না, জনগণের সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকে না। জনগণের কাছ থেকে কোনো ফিডব্যাক পাওয়া যায় না। সুতরাং একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যত তাড়াতাড়ি ফিরে যাওয়া সম্ভব, সেদিকে আমরা জোর দিয়েছি।

গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টায় ইইউ রাষ্ট্রদূতের গাড়ি গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রবেশ করে। প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। খসরু বলেন, সংস্কারের বিষয়ে যেটি আলোচনা হয়েছে, সেটা হচ্ছে যে ক’টি বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে যেতে পারব সেগুলো ইমিডিয়েটলি করা যেতে পারে, সেগুলোর ব্যাপারে সময় নেওয়ার কোনো কারণ নেই। আর যেগুলোতে ঐকমত্য হবে না, সেগুলো আগামী দিনে নির্বাচনে প্রত্যেকটি দল জনগণের কাছে নিয়ে যাবে। তাদের যে প্রোগ্রাম নিয়ে যাবে, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আগামী দিনে সংসদে পেশ করা হবে এবং সংসদে আলোচনা হবে, তর্ক হবে, বিতর্ক হবে এবং পাস করা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেহেতু ইইউর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে, আমাদের সাথে তাদের অর্থনীতির। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তা অব্যাহত থাকবে কিনা? আমাদের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে বিএনপির অর্থনৈতিক সফলতা আমরা বলেছি। আগামী দিনে দেশের অর্থনীতিকে এই গর্ত থেকে তুলে আনার জন্য বিএনপি যে কর্মসূচি ইতিমধ্যে নিয়েছে এবং এই সরকারের সময় যদি কোনো কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয় সেটা অবশ্যই আমরা সমর্থন করব। আমাদের দলের অর্থনৈতিক কর্মসূচি আছে। জনগণ আমাদেরকে নির্বাচিত করলে সেই কাজগুলো আমরা করব।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে বিনিয়োগকারীদের বিএনপি স্বাগত জানায় বলে জানান আমীর খসরু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাবেক এমপি নদভী আরো ৫ মামলায় শ্যোন এরেস্ট
পরবর্তী নিবন্ধবিজিবি-জনগণ শক্ত অবস্থান নেওয়ায় ভারত পিছু হটেছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা