এসএসসির ফলাফলে বাঁশখালীতে সেরা চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়

জিপিএ-৫ বেশি কোকদন্ডী গুনাগরী উচ্চ বিদ্যালয়ে

বাঁশখালী প্রতিনিধি | সোমবার , ১৩ মে, ২০২৪ at ১২:১৭ অপরাহ্ণ

বাঁশখালীতে এবার এসএসসির ফলাফলে প্রথম হয়েছে চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়। জিপিএ-৫ এ প্রথম হয়েছে কোকদন্ডী গুনাগরী উচ্চ বিদ্যালয়।

এ বছর বিদ্যালয়টির ৩০৩ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ২৭৬ জন। তার মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭ জন। সবমিলিয়ে স্কুলটির পাশের হার ৯২ দশমিক ০০ শতাংশ। অন্যদিকে এবার এসএসসিতে পুরো বাঁশখালী উপজেলার পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ।

উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত ৭৮ বছরের মধ্যে এই প্রথম এত বড় সাফল্য পেল চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিষয়ে চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া। আমার স্কুলের সভাপতি সাব্বির মোস্তফার তত্ত্বাবধানে, শিক্ষকদের প্রচেষ্টা, এলাকাবাসীর সহযোগিতা ও শিক্ষার্থীদের পরিশ্রমে এত বড় অর্জন এসেছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাব্বির মোস্তফা বলেন, আসলে আমাদের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদে সমন্বিত আন্তরিক প্রচেষ্টা এই ফলাফল অর্জনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে।

আমাদের শিক্ষকরা পাঠদানে যেমন আন্তরিক, একইভাবে অভিভাবকরা সচেতন। অপরদিকে বাঁশখালীর অন্যান্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বেশিরভাগ স্কুল তুলনামূলকভাবে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করেছে।

যদিও কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী স্কুলের ফলাফল খারাপ হয়েছে। নাপোড়া শেখেরখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৯১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। মোট ২৩৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২১৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ জন।

নাটমুড়া পুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৯১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। মোট ২৬২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৩৯ জন। জিপিএ- ৫ পেয়েছে ১০জন। বানীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৮৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। মোট ১৭৬জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৫৮ জন। জিপিএ- ৫ পেয়েছে ৫ জন।

বাজারচড়া রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৮৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। মোট ২৩২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২০৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। বাঁশখালী বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৮৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ।মোট ২৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৩২ জন। জিপিএ- ৫ পেয়েছে ৫জন।

কামাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৮৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। মোট ৬৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।

রায়ছটা প্রেমাশিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার৮৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। মোট ১৭৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৫০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫জন।

সাধনপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৮৬ দশমিক ০০ শতাংশ। মোট ১০০জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮৬ জন। জিপিএ- ৫ পেয়েছে ৭জন।

পুঁইছড়ি উজ্জতিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ। মোট ১২৫জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০৫ জন। জিপিএ-৫ পায়নি কেউ।

মোনায়েম শাহ আউলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৮২ দশমিক ৬৯ শতাংশ। মোট ৫২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।

পশ্চিম বাঁশখালী স্কুল এন্ড কলেজের পাসের হার ৮৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। মোট ২৪৮জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৯৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন।

হাজীগাঁও-বরুমছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৮৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। মোট ৭৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬২ জন। জিপিএ- ৫ পায়নি কেউ। কোকদন্ডী গুনাগরী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ।মোট ২৪১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৯১জন। জিপিএ- ৫ পেয়েছে ১৯জন।কালীপুর এজহারুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৭৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। মোট ১১২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮৭জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন।

বিবি চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মোট ৮০ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ ৬৩জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।কাথরিয়া-বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। মোট ২৬৩জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২০৫ জন। জিপিএ- ৫ পেয়েছে ৪জন।

বাঁশখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যায়ের পাসের হার ৭১ দশমিক ১১ শতাংশ।মোট২৫১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৯২জন।জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২জন।খানখানাবাদ আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৭৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ। মোট ৮২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬১জন। জিপিএ-৫ পায়নি কেউ।

নাসেরা খাতুন আর কে উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৭৪ দশমিক১৭ শতাংশ। মোট ১৫১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ ১১২জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন।বৈলছড়ি নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৭৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। মোট ৩৩৩জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৪২জন।

জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪জন গন্ডামারা-বড়ঘোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৭১ দশমিক ০৫ শতাংশ। মোট ৭৬জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৪জন। জিপিএ-৫ পায়নি কেউ।সরল আমিরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৬৬ দশমিক ৯১শতাংশ। মোট ১৩৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ ৯১জন। জিপিএ-৫ পায়নি কেউ।বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৬৬ দশমিক ০১ শতাংশ। মোট ৩৫৩জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৩৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন।ছনুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ৬৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। মোট ১২০ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ ৭৬জন। জিপিএ-৫ পায়নি কেউ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গু’লি করে হ’ত্যা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ওএমএস ডিলারকে অপহরণ করে নির্যাতন, মামলা