চীন থেকে উপহার হিসেবে পাঁচ লাখ ডোজ টিকা এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল বুধবার ইস্কাটনে নিজের বাসায় টিকা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, তাদের (চীন) অ্যাম্বাসেডর ঢাকায় যিনি, উনি আমাদের বলেছেন যে, ১২ মে’র মধ্যে আসবে। গিফটটা চলে আসবে আগে আগে। এর আগে চীন থেকে উপহারের ওই টিকা ১০ মে আসতে পারে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ১০ তারিখে আসবে। মে বি হি নোজ বেটার। কারণ ঠিক কখন আসবে, কয়টা চালান আসবে, সেটা কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুধু আমরা কিনব, ওরা রাজি’- এটুকু আমরা করি। এই নেগোসিয়েশনটা আমরা করি। কবে কখন আসবে, এমনকি কত টাকা-পয়সা দেব, এটা আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে। খবর বিডিনিউজের।
চীন থেকে কেনা টিকা কবে নাগাদ পাওয়া যেতে পারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, কোন পর্যায়ে কিনবেন, কত টাকার কিনবেন, সেটা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে এগ্রিমেন্টটা এখনো বলবৎ আছে। ইন্ডিয়া কখনো বলে নাই যে দেবে না, সবসময় বলে কিপ ইউর ফিঙ্গার ক্রসড। তাদের নিজের দেশের তাগিদে দিতে পারতেছে না। আমরা ভারতকে সেদিন লিখেছি, আমাদের যেটা ইমেডিয়েট দরকার, তিন মিলিয়ন বোধহয় সেকেন্ড ডোজের জন্য, এটা আগে আগে দাও, বাকিগুলো আস্তে আস্তে দাও। কিন্তু এটার কোনো উত্তর দেয় নাই।
বিশ্বজুড়ে টিকা পাওয়ার লড়াইয়ের মধ্যে নাগরিকদের জন্য অঙফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৬ কোটি ডোজ টিকা কিনেছিল যুক্তরাষ্ট্র। শেষ পর্যন্ত তারা ওই টিকা প্রয়োগের অনুমতিই এখনও দেয়নি। প্রয়োগ না হওয়ায় ওই টিকা এখন অন্য দেশকে দিতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখান থেকে টিকা পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার, তার জবাব এখনো আসেনি। এ প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, আগামীকাল (আজ) ইউএস অ্যাম্বাসেডর ঢাকায় আসবেন। তিনি তখন একটা আপডেট দেবেন বলে আমি আশাবাদী।