এক মিনিটের মধ্যে লক ভেঙে মোটরসাইকেল চুরি

মূল হোতা ও তিন সহযোগী গ্রেপ্তার ৭টি চোরাই গাড়ি উদ্ধার

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ

নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূল হোতা মো. আনোয়ার হোসেন ও তার ৩ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। তাদের হেফাজত থেকে ৭টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সাতকানিয়ার উত্তর ঢেমশার নুরুল আলমের ছেলে মো. আনোয়ার

 

হোসেন (৩৫), পূর্ব গাটিয়াডাঙ্গা এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে মো. সাজ্জাদ (২৭), কক্সবাজারের রামু থানার মধ্যম মেরংলোয়া এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে মো. জাহেদুল ইসলাম (২০) এবং ঘোনারপাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. ইউসুফ প্রকাশ মেকানিক ইউসুফ (২৪)

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) উত্তর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোখলেসুর রহমান জানান, আনোয়ার হোসেন একসময় প্রবাসে শ্রমিকের কাজ করত। বছর দুয়েক আগে দেশে এসে বোরহান নামে এক ব্যক্তির কাছে মোটসাইকেল চুরির কৌশল শিখে। বোরহান প্রবাসে চলে গেলেও আনোয়ার

মোটরসাইকেল চুরির কাজে জড়িয়ে পড়ে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাজ্জাদকে সঙ্গে নিয়ে আনোয়ার মোটরসাইকেল চুরি করে কক্সবাজারের রামু গিয়ে বিক্রি করত। একটি মোটরসাইকেল চুরি করে কয়েক মাস কাজ বন্ধ রাখত। গ্রেপ্তার করার পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে এসব তথ্য।

উপকমিশনার বলেন, আনোয়ার ও সাজ্জাদ সরাসরি মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত। একটি মোটরসাইকেল চুরি করতে তাদের দুজন সদস্য স্পটে থাকে। একজনের কাজ হচ্ছে মোটরসাইকেল মালিকের গতিবিধি লক্ষ্য করা, অন্যজন মোটরসাইকেলটি কিছু সময় পর্যবেক্ষণ করে। মাত্র ৪৫ সেকেন্ড থেকে ১

মিনিটের মধ্যে মাস্টার চাবি দিয়ে লক ভেঙে মোটরসাইকেল চালু করে। সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে সরাসরি কক্সবাজারের রামুতে মো. ইউসুফের কাছে বিক্রি করত।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন মজুমদার বলেন, পাঁচলাইশ থানা এলাকার মোটরসাইকেল চুরি যাওয়ার সকল ঘটনাস্থল, রাস্তা, কর্ণফুলী টোল প্লাজাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ৬৫০টি সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। ফুটেজ পর্যালোচনা করে মোটরসাইকেল চোর মো. আনোয়ার হোসেন ও মো. সাজ্জাদকে শনাক্ত করা হয়। এক ঘটনায় দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পূর্ব গেটের পাশে রাখা একটি

মোটরসাইকেলের উপর বসে পড়ে আনোয়ার। সাজ্জাদ চতুর্দিকে রাস্তার ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার জন্য কানে মোবাইল ধরে কৌশলে ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকে। আনোয়ার ক্লিয়ারেন্স পেয়ে তার হাতে থাকা মাস্টার চাবি দিয়ে মোটরসাইকেলটির লক খুলে ইঞ্জিন চালু করে। মেডিকেল এলাকা থেকে আনোয়ার হোসেন ও সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আফতাব হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা স্বীকার করেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, দুই নম্বর গেটসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল চুরি করেছে। এ ব্যাপারে পাঁচলাইশ থানায় চারটি মামলা, বিভিন্ন থানায় মোটরসাইকেল চুরির একাধিক মামলা রয়েছে। চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২৫ লাখ টাকার সামগ্রী ঢাকা তুরস্ক দূতাবাসে হস্তান্তর গাউসিয়া কমিটির
পরবর্তী নিবন্ধখাস জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসকদের দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে