ছড়া সাময়িকী ‘ছড়াটে’র উদ্যোগে একুশে পদকপ্রাপ্ত কিংবদন্তি ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান গত ২৩ মার্চ নিউইয়র্কের একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। ছড়াকার শাম্স চৌধুরী রুশো–র পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক আহমাদ মাযহার, গল্পকার নসরত শাহ, কবি মিশুক সেলিম, ছড়াকার মনজুর কাদের, ছড়াকার খালেদ সরফুদ্দীন, ছড়াকার সজল আশফাক, ছড়াকার শাহীন দিলওয়ার, ছড়াকার মানিক রহমান, ছড়াকার মিনহাজ আহমেদ, ছড়াকার আদিত্য শাহীন, ছড়াকার রিপন শওকত, ছড়াকার মৃদুল আহমেদ, লেখক–চিকিৎসক শিমুল সিকদার, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট লায়লা খালেদা, সাংস্কৃতিককর্মী সাঈদা উদিতা প্রমুখ।
লুৎফর রহমান রিটন এই আন্তরিক আয়োজনের জন্য ছড়াটেকে ধন্যবাদ জানান। তিনি ছড়াটে’র সকল গঠনমূলক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি আমিও ছড়াটে–র একজন সদস্য। ছড়াকারসহ বিশ্বজুড়ে অগণিত ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী যারা তাকে ভালোবাসেন, পছন্দ করেন তারা তাঁর বর্ধিত পরিবার। মাতৃভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের সাথে তার আবেগ জড়িত। এই দুই বিষয়ে তিনি কারো সাথে আপোষ করেন না। তিনি যা ধারণ করেন সেটাই তাঁর কলম গলিয়ে বেরিয়ে আসে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর কলম সবসময় সোচ্চার। তিনি তাঁর লেখালেখির দীর্ঘ সফরের কথা বর্ণনা করেন। একটা সময় তিনি চরম অর্থ কষ্টের মধ্যে দিন কাটিয়েছেন। সেই দুঃসময়ের শার্লি তাকে ছেড়ে যাননি বরঞ্চ সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস যুগিয়েছিলেন। এরপর রিটন উঠে দাঁড়ানোর গল্প বললেন। বিত্ত না থাকলেও চিত্তে কিভাবে সম্পদশালী হলেন তার গল্প বললেন। তিনি বলেন, এক জীবনে আমি শুধু ছড়াকেই ভালোবেসেছি।
রিটন পত্নী শার্লি রহমান বলেন, রিটন শুধু একজন ভালো লেখক বা ছড়াকার নন, তিনি একজন পরিবারবান্ধব লোক, ভালো স্বামী এবং ভালো বাবাও। যেকোনো মূল্যে তাকে লেখালেখি চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাগিদ দেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।