দা’মনি হিসেবে তিনি নগরের সারস্বত সমাজে খ্যাত। অরুণ দাশগুপ্তর সাধুসঙ্গের ঠিকানা-সাকিন আমার মনে নেই। তবে এনায়েত বাজার মহিলা কলেজের এডজাসেন্ট অভিজাত বাড়ি, ‘কল্যাণী’র আড্ডার কথা বেশ মনে রয়েছে। কল্যাণী সেন, টাঙ্গাইল নিবাসী চট্টগ্রামের প্রথম সিভিল সার্জন ডা. কেশব সেনের কন্যা। অপর্ণা চরণের এসিটেন্ট হেড মিস্ট্রেস। তারই সঙ্গী ছিলেন অরুণ দাশগুপ্তের মামার জেঠাস প্রণতি সেন। তিনি হেডমিস্ট্রেস ছিলেন।
প্রণতি সেন হেড মিস্ট্রেস থাকা অবস্থায় তার বাবা জনৈক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের কন্যাকে ভর্তি করার অনৈতিক অনুরোধ করলে তা না করে রাগ করে পাথরঘাটা বাসভবন ছেড়ে কল্যাণীর বাসায় বসবাস শুরু করেন। সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা অনতিতরুণ থেকে অশতিপর সবাই সেখানে যেতেন। আড্ডা দিতেন ুঅধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ, চট্টলবিদ আবদুল হক চৌধুরী, রাজনীতিবিদ আতাউর রহমান খান কায়সার, বিদগ্ধ শিক্ষাবিদ রশীদ আল ফারুকী, সাংবাদিক সুখেন্দু ভট্টাচার্য, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেন খান, ময়ূখ চৌধুরী, ফাউজুল কবির, সাথী দাশ, অরুণ সেন, অজয় দাশ গুপ্ত, শেখ খুরশীদ আনোয়ার, আশীষ সেন, আহমেদ খালেদ কায়সার, ড. মনজুর উল আমীন চৌধুরী, আহমেদ আমিন চৌধুরী, হোসাইন কবির, ডা. জিল্লুর রহমান, বিদ্যুৎ কুমার দাশ, নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, অলক দত্ত, বাংলাদেশ সাহিত্য পর্ষদের নেতৃবৃন্দ। দাশগুপ্তের বাসার ‘বুধ সন্ধ্যা’ আড্ডা বিখ্যাত ছিল।
বিশেষ করে তার মামা প্রণম্য ড. অনুপম সেন বিকেলের দিকে তার গাড়ি হাঁকিয়ে যেতেন। সাথে আড্ডার উপকরণ মিষ্টি-ঝাল ইত্যাদি। সারাজীবন তিনি এতে সিদ্ধহস্ত, উদারহস্ত। বৈঠক খানাটা ছিল সামন্ত সুন্দর। অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিতেন। নজরুলের মতো তাম্বুলাসক্ত অরুণ দাশগুপ্ত বৈঠকী মজলিসে কখনো উৎসাহ দিচ্ছেন তরুণদের অধিকতর লেখার জন্য। কখনো সংগীত বিষয়ে বিস্তার আলাপ করা ও পরামর্শ দিচ্ছেন পিএইচডির মানবীকে। বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে আমি কাহলিল জিবরান ও অন্যান্য আরবী কবিদের উপর কিছু কাজ করেছিলাম। দা’মনি জনগণকে বলতেন, ‘অভীক লেখাপড়া জানে’। এই আশীর্বাণী নিখিল জীবনে আমার জন্য শ্লাঘার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিলো।
তার আড্ডায় আমি ঠিক অন্য অনেকের মতো মুরীদ হতে পারিনি। তবে চট্টগ্রাম চেম্বার সচিবালয়ে চাকরির সময় ‘অন দ্যা ওয়ে টু অফিস’ প্রাতে যেতাম। লেখা দিয়ে আসতাম। চেম্বারের পলোগ্রাঊন্ড মেলার সৌজন্য টিকেট, গিফট, টেলিভিশন থেকে প্রোগাম করে ফেরার সময় তাঁকে রহমতগঞ্জ মিনতিদির বাসার নামিয়ে দিতাম। বড়ো খুশি হতেন। বড়ো ভালোবাসতেন। দুপুরের নরম আলোর মতো এই পিতৃপুরুষ মমতা ছড়িয়ে দিতেন। আমি তা হাতে মুখে চোখে আমার কস্টিউমে সুগন্ধীর মতো মাখতাম। আহা জীবন। আরেকটা অরুণজীবন কী আর ফিরে আসবে। কী মনে করে তিনি আমার জন্য কোলকাতা থেকে পাঞ্জাবি নিয়ে এলেন। নিজেকে কেন জানি ক্ষুদ্র মনে হয়েছিলো। তিনি কী দায় শোধ করছেন।
চট্টগ্রামে তথা বাংলাদেশে অনেক লেখক গড়ে তুলেছে আজাদী। তার পেছনের কারিগর অরুণ দাশগুপ্ত। ১৯৯৯ সালে আমার একটা নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হয়। সে অনুষ্ঠানে অরুণদা, অনুপম সেন স্যার যেতে পারেননি। কিন্তু কী আশ্চর্য নগণ্য নবীনকে সন্মান দেয়া এই মহামতিরাই জানেন। ফুল হাতে এই মামা- ভাগিনা আমার ১১ রাজাপুকুর লেনের বাসায় হাজির।
নব্বই স্বৈরশাসনের মধ্য সময় ড. মঞ্জুর উল আমিন চৌধুরী সহ আমরা ‘চট্টগ্রাম সংস্কৃতি পরিষদ’ গড়ে তুলি। অরুণ দাশগুপ্তর ভগ্নিজন মিনতি বিশ্বাসের বাসা রহমতগঞ্জস্থ যোগেশ ভবনে সাহিত্যের আরেকটা আড্ডা হতো। নিকট থেকে আসতেন বিংশের চট্টগ্রামের এলিট লেডি ইংরেজীর অধ্যাপক সালমা চৌধুরী।
এই সংস্কৃতি পরিষদের প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন অধ্যাপক আসহাব উদ্দিন আহমদ, পরে ড.মনিরুজ্জামান প্রেসিডেন্ট ছিলেন। মনিরুজ্জামানের মেয়ে দোলা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাস চাপায় মারা গেলে তিনি অবসরে যান। পরে সালমা চৌধুরীকে আমরা প্রেসিডেন্ট করি।
এর উপদেশক ছিলেন আবদুল হক চৌধুরী, ওহীদুল আলম, প্রধান বিচারপতি ব্যারিস্টার ফজলুল করিম চৌধুরী, আসহাব উদ্দিন আহমেদ, এয়াকুব আলী মোল্লা, শামসুল আলম ( পটিয়ার শিপিং সেক্টর ব্যাক্তিত্ব)।
চট্টগ্রাম সংস্কৃতি পরিষদ ড. আহমদ শরীফ সংবর্ধনা, ড. মুহম্মদ এনামুল হক, আবদুল হক চৌধুরীর উপর প্রোগ্রাম করেছে। ড.আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্বর্ণ পদক নেবার ঠিক আগের দিন হার্ট এ্যাটাক করে মারা যান।
আড্ডায় বেশ সনাতনী খাওয়াদাওয়া হতো। কমিউনিস্টরা এমনিতেই ভোজন রসিক। প্রফেসর আসহাব উদ্দীন আহমেদ লুচি, ডাল, তরকারি একাই শেরেবাংলা ফজলুল হকের আম কৈ মাছের মতো গোগ্রাসে গিলতেন। আর যোগেশ সিংহ ও মিনতি বিশ্বাসের প্রশংসা করতেন।
অরুণদা এনায়েত বাজার বাসভবন থেকে মিনতির বাসায় রহমতগঞ্জস্থ যোগেশ ভবনে গেলেন। যোগেশ ভবন ডেভ্লপ কার্যক্রম শুরু হলে তিনি সংশ্লিষ্ট পেছনের গলিতে অন্য বিল্ডিংয়ের উপর থাকতেন। তখনও সেখানে আমি যেতাম।
দা’মনি সবসময় সিম্পল সুতি খাদি কাপড় পড়তেন। চিরকুমার বলতেন, ‘ধোবে কে? সেজন্য বস্ত্র পরিধান করি।’ কথাটা আমার বড়ো মনে ধরেছিলো তরুণ কালে। প্রৌঢ়কালে মর্মে মর্মে বুঝি। ‘এবার আমারে লহ করুণা করে’। আহারে সোনার তরী জীবন। ‘ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই ছোটো সে তরী/ আমারই সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।’
রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে বৈঠকী মজলিশে সংগীত সাহিত্যে লিখিত রবীন্দ্রনাথের মালা গাঁথতেন। চট্টগ্রাম নজরুল, চট্টগ্রামে রবীন্দ্রনাথ- তাঁর অমর রচনা।
অরুণ দাশগুপ্ত কবি। কবিদের কারিগর। ‘তিনি মূলত কবি। অর্ন্তলোক অবলোকন করেন কবিতায়। তার ভাষীরীতি ও আঙ্গিক ধ্রুপদ মার্গেও কথা স্মরণ করিয়ে দেয় প্রতিমুহূর্তে । শব্দ ও বোধ যোজনের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্নস্বরের কাব্যকলা নির্মাণে সচেষ্ট রয়েছেন তিনি। তৃতীয় বোধনের স্ফুরিত কবিতায় তিনি মানবিক আকুলতা আর যাপিত জীবনের স্বপ্নকথা বলেন রূপকথার আঙ্গিকে। ঋদ্ধ জীবনবোধ কবিতাকে আপাত দুর্বোধ্যতায় আকীর্ণ করছে বলে মনে হলেও স্বীকার্য সত্য এই যে, তাঁর কবিতা নিবেশ অবিনিবেশ দাবী করে এবং বোধের অন্য জগতে দূরগামী অভিযাত্রী করে অনুরাগীকে’ কিন্তু বিস্ময়ের বিষয় তার কোন কবিতার বই নেই। বাংলাদেশের তারকা দার্শনিক চিন্তক সলিমুল্লাহ খান স্বাধীনতাত্তোর পর্যায়ে প্রাক্সিস জার্নালের যে মননশীল ও যৌক্তিক গদ্যশৈলি করেছেন অনেকটা কমলকুমার মজুমদারকে ফলো করে।
কিন্তু তার গদ্যের বই নয়। বের হলো ‘এক আকাশের স্বপ্ন’ কাব্যগ্রন্থ। কবিতা দিয়ে শুরু করলেও আমার নিজেরও বের হয় প্রথম নাটকের বই। (১৯৮৯)
শান্তিনিকেতন অরুণ দাশগুপ্ত’র চাক্ষুষ অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করেছে। অতি অনিবার্যভাবে বলেছেন তার প্রথম গ্রন্থ ‘রবীন্দ্রনাথের জ্ঞান না জানলে রবীন্দ্রনাথকে জানা সম্ভবপর নয়। (ভূমিকা, প্রাগুক্ত) আমাদের একাডেমিক গুরু আচার্য সুকুমার সেন রবীন্দ্রনাথের জ্ঞান শীর্ষক ক্ষুদ্র পুস্তিকা রচনা করেছেন।
ড. অনুপম সেন এর ভূমিকায় লিখেছেন ‘রবীন্দ্রনাথ যে দু-হাজার গান লিখেছেন তার বড় অংশ প্রকৃতিকে নিয়ে। ‘দাশগুপ্ত নিবেদন করেছেন ‘গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের গান বাঙ্গারির মূল্যাতীত সম্পদ। অনন্য সংগীতস্রষ্টা তিনি। রবীন্দ্রনাথের তুল্য কম্পোজার পৃথিবীর সংগীতের ইতিহাসে বিরল। সঙ্গীতস্রষ্টা হিসেবে তিনি বিটোফেন ভাগনার, মোজার্ট, সেবাস্টিয়ান বাখ, হান্ডেল, চাইকফস্কির সঙ্গে তুলনীয় হলেও সংগীতের নৈর্বাক্তিক চরিত্রকে ব্যক্তিক করেছেন তিনি। সংগীতের বিমূর্ততাকে মূর্ত করা ও সুরের মানবায়ন ঘটানোতে তাঁর তুল্য কোনো সংগীতস্রষ্টা খুঁজে পাওয়া দুস্কর। রবীন্দ্রনাথ অত্যুৎকৃষ্ট সুর ও অত্যুতকৃষ্ট কবিতাকে মিলিয়ে দিয়েছেন। তাঁর মতো সংগীতের মানবায়ন আর কেউ ঘটাতে পেরেছেন কিনা সন্দেহ। রবীন্দ্রনাথের ঋতুর গানগুলোর দিকে নজর দিলে আমরা সেটা অনেকটা বুঝতে পারি। গানের বাণী ও সুরের এমন যুগল সম্মিলন রীতিমত বিস্ময়কর।’ গুস্তাকীমাফ একটা কথা বলতে চাই- আইরিশ মেলোডিজকে যে কথাটা পেশ করেছেন (পৃ. ২৫) আমাদের মনে হয় রবীন্দ্রনাথ তার সম্পূর্ণটা গ্রহণ করেছেন। ‘রবীন্দ্র স্মৃতিতে’ উদ্ধৃত আছে সে বয়সে অবশ্য এর সম্পূর্ণ রসগ্রহণ করবার ক্ষমতা আমার ছিলো না। কিন্তু এটুকু মনে আছে যে, ‘Won’t you tell me, Molly darling’/Darling you are going old’/Good bye, sweetheart good bye’ প্রভৃতি তখনকার জনিপ্রিয় গানগুলো তিনি গাইতেন।
অরুণ দাশগুপ্তের দ্বিতীয় গ্রন্থ যুগপথিক কবি নবীনচন্দ্র সেন। (বলাকা ২০১৮)
নিবেদনে তিনি বলেছেন, ‘বাংলা কবিতায় উনবিংশ শতাব্দীর বাঙ্গালি রেনেসাঁসের নান্দীপাঠ করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রংগলাল বন্দোপাধ্যায়, হেমচন্দ্র বন্দোপাধ্যায় ও নবীন চন্দ্র সেন। মধুসূদনের সাহিত্যে উনিশ শতকীয় রেনেসাঁসের যে ঢেউয়ের দোলা এসে লেগেছিল এবং তার ফলে তাঁর সাহিত্যে যে নতুন জীবনবোধ ও চেতনার রূপায়ন ঘটে চট্টগ্রামের কবি নবীনচন্দ্র সেন তাঁরই উত্তর সাধক। নবীন চন্দ্র ছিলেন একটি বিস্ময়কর কবি চর্ত্রি। চট্টগ্রামের একজন নবীন যুবক গ্রাজুয়েট হবার মানসে এসেছিলেন কোলকাতায়, সারা ভারতবর্ষের রাজধানী কোলকাতায় এসে আপন প্রতিভা বলে স্থান করে নিলেন কোলকাতার সারস্বত মন্ডলীতে । সে যুগে এটা ছিলো অবাক হওয়ার মতো। শুধু কবি হিসেবেই নয়, বাংলার সমাজ, সংস্কৃতি সাহিত্যক্ষেত্রেও নবীন চন্দ্র প্রভূত বিস্তারে সমর্থ হয়েছিলেন। পরিতাপের বিষয় নবীন চন্দের কোনো গ্রন্থ বাংলাদেশে পাওয়া যায় না। বাংলা একাডেমি বা কোন প্রকাশনা সংস্থা আজ পর্যন্ত নবীন চন্দের কোনো গ্রন্থ প্রকাশ করে নি। অমর একুশের উপলক্ষে বাংলা একাডেমি জীবনী গ্রন্থমালা প্রকল্পের অধীনে ১৯৯৫ সালে একটি ক্ষুদ্র কলেবরের গ্রন্থ প্রকাশ করেছে মাত্র। তারি যুগ পথিক কবি নবীনচন্দ্রের ওপর একটি গ্রন্থ প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হলো।
এই বইয়ের একটি ইতিবাচক দিক হচ্ছে অরুণ দাশগুপ্তের চাইতে অনুজ ড. ইলু ইলিয়াস এর ভূমিকা লিখেছেন। ভূমিকায় ইলিয়াস বলেছেন, ‘নবীন চন্দ্র সেনের কাব্য বিচার বা বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে সমালোচকদের সামনে এক মূর্তমান আতঙ্ক হয়ে দাঁড়ায় পাঁচ খন্ডে বিস্তৃত কবির আত্মজীবনী ‘আমার জীবন’। অরুণ দাশগুপ্ত তার সুধীর্ঘকালের অধিত বিদ্যা ও সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতায় তা অনায়াসে অতিক্রম করে অতিকথন দোষ ও ভাবাতিশয্যমুক্ত এক নতুন নান্দনিক নবীন চন্দ্রকে আবিষ্কার করেন এ-গ্রন্থে। অরুণ দাশগুপ্ত বলেন, ‘নবীন চন্দের কবি প্রাণ ছিল মূলত গীতি সুলভ’, কিন্তু যুগ ধর্মের প্রভাবে তিনি প্ররোচিত হন ধ্রুপদী আঙ্গিকের পৌরাণিক মহাকাব্যের সাধনায়- কিন্তু অন্তর্গত প্রবণতা তার রোমান্টিক গীতি প্রতিভাকেই প্রকর্ষিত করেছে প্রতিনিয়ত। কাজেই নিয়মিত অমোঘসূত্রে নবীন চন্দ্র সেন অনিবার্যভাবে হয়ে উঠেন যুগাশ্রয়ী সরল আখ্যানের গীতিকবি।
বস্তুতঃ অরুণ দাশগুপ্ত এক অসাধারণ পান্ডিত্যে এভাবেই উপস্থাপন ও বিশ্লেষণ করতে চেয়েছেন কবি নবীন চন্দ্র সেনের সৃজনীপ্রতিভা ও সৃজনশীলতার-সৃজন সৌকর্য তথা ভাষা ু ছন্দ-অলংকার প্রয়োগের অপূর্বতার, অপকর্ষতারও।’
সর্বশেষ শুনেছিলাম তিনি হাসপাতালে। কল্যাণী এখন অট্টালিকা, যোগেশ ভবন হাইরাইজ বিল্ডিং। এই নগরে তার উপকারভোগী অনেকে রক্তীয় আত্মীয়জন আছেন। কোলকাতায় থাকলে তার মর্যাদা হতো, ঢাকায় থাকলে প্রচার পেতেন, পদক পেতেন। এখন ধলঘাটে একা পড়ে রয়েছেন। মনুষ্যসমাজ কোনক্রমেই তার ভয়ংকর একা নিয়তিকে অতিক্রম করতে পারে না। আমরা মূলত কবি দা’মণির জীবদ্দশায় তার একটা কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ হোক এটা প্রার্থনা করছি।