এইচএসসি ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে

ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই, ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, বেঁধে দেয়া হয়েছে ভর্তি ফি

হাসান আকবর | বৃহস্পতিবার , ১৬ মে, ২০২৪ at ৬:৩০ পূর্বাহ্ণ

আগামী ৩০ জুলাই এইচএসসি প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হচ্ছে। আবেদন শুরু হবে ২৬ মে থেকে। মোট তিন দফায় আবেদন করা যাবে। প্রথম দফায় ২৬ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের কলেজে ভর্তির ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা বোর্ড শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কি পরিমাণ ফি আদায় করতে পারবে তাও বিস্তারিত উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। এমপিওভুক্ত কলেজগুলোতে বাংলা এবং ইংলিশ মিডিয়ামের ভর্তি ফি ও সেশন চার্জ বাবদ চট্টগ্রাম শহরে ৩ হাজার টাকা, জেলায় ২ হাজার টাকা এবং উপজেলা বা মফস্বলে দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ করে একাদশে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালায় নন এমপিওভুক্ত কিংবা আংশিক এমপিওভুক্ত কলেজগুলোতে শহর এলাকায় বাংলা ভার্সনে ৫ হাজার টাকা, ইংরেজি ভার্সনে ৬ হাজার টাকা, জেলা পর্যায়ে বাংলা ভার্সনে ৩ হাজার টাকা, ইংরেজি ভার্সনে ৪ হাজার টাকা, উপজেলা পর্যায়ে বাংলা ভার্সনে আড়াই হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষা বোর্ড শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চায়ন করার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শিক্ষা রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ১৪২ টাকা, ক্রীড়া ফি বাবদ ৫০ টাকা, রোভার/রেঞ্জার ফি বাবদ ১৫ টাকা, রেড ক্রিসেন্ট ফি ১৬ টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফি ৭ টাকা, বিএনসিসি ফি ৫ টাকা, শিক্ষক কল্যাণ ফি ও অবসর সুবিধা ভাতা ফি ১০০ টাকাসহ মোট ৩৩৫ টাকা নিতে পারবে। এবারও অনলাইনে আবেদনের বিধান রাখা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে গতকাল (বুধবার) এই নীতিমালা জারি করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের পক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ শাখা১ এর উপসচিব রেবেকা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক পত্রে উক্ত নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে।

ভর্তির যোগ্যতা ও গ্রুপ নির্বাচন : পূর্ববর্তী তিন বছরে দেশের যে কোনো শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নীতিমালার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে কোন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। এছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণসহ অন্যান্য বছরের শিক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। বিদেশি কোনো বোর্ড বা অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড তার সনদের মান নির্ধারণের পর ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে।

বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর যে কোনটি; মানবিক গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যে কোনটি এবং ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক গ্রুপের যে কোনটিতে আবেদন করতে পারবে। আর যে কোনো গ্রুপ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ইসলামী শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সংগীত গ্রুপের যেকোনোটি; মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান গ্রুপে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনোটি এবং সাধারণ ও মুজাব্বিদ মাহির গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান গ্রুপ ব্যাতীত যে কোনোটিতে আবেদন করতে পারবে।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের যেকোনো গ্রুপে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।

প্রার্থী নির্বাচনে অনুসরণীয় পদ্ধতি : ভর্তির জন্য কোন বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। কেবল শিক্ষার্থীর এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। আগামী ২৬ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। যারা এসএসসি বা সমমানের রেজাল্ট পুনঃপরীক্ষণের আবেদন করেছেন তাদের রেজাল্ট পরিবর্তন হলে এই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। ১২ ও ১৩ জুন আবেদন যাচাই বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে। ১৪ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইন সার্ভিস ও কল সেন্টার বন্ধ থাকবে। ২৩ জুন রাত ৮টায় প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ফল প্রকাশের পর থেকে ২৯ জুন রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন নিশ্চিত না করলে তাদের আবেদন এবং ভর্তির ফল বাতিল হয়ে যাবে। তাদেরকে নতুন করে ফি পরিশোধন করে আবেদন করতে হবে। ৩০ জুন থেকে ২ জুলাই রাত ৮টা পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের ভর্তি আবেদন করা যাবে। ৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ৫ জুলাই থেকে ৮ জুলাই রাত ৮টা পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচিতদের নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। ৯ জুলাই থেকে ১০ জুলাই রাত ৮টা পর্যন্ত তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন করা যাবে। তৃতীয় পর্যায়ের ফলাফল প্রকাশ করা হবে ১২ জুলাই। ১৩ এবং ১৪ জুলাই রাত ৮টার মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ের নির্বাচিতদের নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। ১৫ জুলাই থেকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে। আগামী ৩০ জুলাই এইচএসসি প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে।

কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৯৩ শতাংশ আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তাকর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ এবং অধীনস্থ দপ্তরসংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তাকর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশসহ মোট ২ শতাংশ কোটা মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নূন্যতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে সংরক্ষিত থাকবে। যদি আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে।

মোট আসনের ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসন্তানের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। উপর্যুক্ত কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে এ আসন কার্যকরী থাকবে না। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসন্তানের সন্তানদের শনাক্তকরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে প্রদত্ত সনদপত্র দাখিল করতে হবে।

যেসব শিক্ষার্থী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে কেবল তারাই সংশ্লিষ্ট বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান, বিকেএসপি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় বা জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে।

সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন সালের গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে। বিজ্ঞান গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।

যদি প্রার্থী বাছাইকল্পে উদ্ভূত জটিলতা নিরসন না হয়, তবে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়নে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।

এক গ্রুপের প্রার্থী অন্য গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে জিপিএ একই হলে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইকল্পে উদ্ভুত জটিলতা নিরসন না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।

এ নীতিমালায় যা কিছুই থাকুক না কেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে স্ব স্ব গ্রুপে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। কোনো কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবে। কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানকে তাদের ভর্তি সংক্রান্ত সব তথ্য ওয়েবসাইট এবং নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করতে হবে।

সব কলেজ/উচ্চমাধ্যমিক/সমমানের প্রতিষ্ঠান স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে মন্ত্রণালয় তথা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা ও সময় অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। কোন প্রতিষ্ঠান মন্ত্রণালয় ও বোর্ড নির্ধারিত তারিখের বাইরে নিজ ইচ্ছামাফিক ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।

অনলাইনে ভর্তি : শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদনের জন্য ওয়েবসাইট এর ঠিকানা : িি.িীরপষধংংধফসরংংরড়হ.মড়া.নফ। অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা সাপেক্ষে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে যে, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ কোনক্রমেই উন্নয়ন ফি গ্রহণ করতে পারবে না। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি সময়ে সময়ে পরিবর্তন করতে পারবেন। নন এমপিও/আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি নীতিমালা অনুযায়ী গ্রহণ করতে হবে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি সময়ে সময়ে পরিবর্তন করতে পারবেন। সরকারি কলেজগুলো সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ফি সংগ্রহ করবে। দরিদ্র, মেধাবী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ উল্লিখিত ফি যতদূর সম্ভব মওকুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ভর্তি প্রক্রিয়ার আগেই বেসরকারি কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি ফিসহ মাসিক বেতন এবং অন্যান্য যাবতীয় খরচ এর লিস্ট স্ব স্ব কলেজের নোটিশ বোর্ডে এবং ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করতে হবে। কোনো শিক্ষার্থীর নিকট হতে অনুমোদিত ফিএর অতিরিক্ত কোনো অর্থ গ্রহণ করা যাবে না এবং অনুমোদিত সকল ফি যথাযথ রশিদ প্রদানের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে।

কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন : সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত কোন ছাত্র/ছাত্রীর ছাড়পত্র ইস্যু করা যাবে না। কিংবা বোর্ডের পূর্বানুমতি ব্যতীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত ছাড়পত্রের বরাতে ভর্তি করা যাবে না। ছাড়পত্রের (টিসি) মাধ্যমে ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে জমা দিতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্বে বাংলাদেশকে এগিতে নিতেই আলোচনা হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধউত্তেজনা ভুলে সামনে তাকাতে চান লু